কোভিশিল্ডের পর এবার কোভ্যাক্সিনের দাম কমাল উৎপাদক সংস্থা। দেশীয় উৎপাদক সংস্থা ভারত বায়োটেক রাজ্যগুলিকে ৪০০ টাকায় টিকা বিক্রি করবে। এর আগে টিকাপিছু ৬০০ টাকা নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রক টিকার দাম কমাতে উৎপাদক সংস্থাগুলোকে আবেদন করেছিল। তারপরেই প্রথমে সিরাম ইনস্টিটিউট আর বৃহস্পতিবার ভারত বায়োটেক দাম কমানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, করোনা আবহে সরকারি স্বাস্থ্য দফতরের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবারই কোভিশিল্ডের দাম ৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করেছিল সিরাম। সিরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, জনস্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও তার আগে কোভিশিল্ডের দাম কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির জন্য পৃথক হওয়ায় দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সেরামকে। কেন্দ্রকে শুনতে হয়েছে কোর্টের কটাক্ষও।
তবে, শনিবার অর্থাৎ পয়লা মে থেকেই শুরু হচ্ছে দেশজুড়ে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ। ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের এই পর্যায়ে টিকাদান করা হবে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার মিলিয়ে কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে ১.৩৩ কোটি মানুষ নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন ইতিমধ্যেই।
গত কয়েকমাস যাবত দেশে ৪৫ উর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা হলেও, ১৮-৪৫ বছর বয়সিদের টিকাকরণের জন্য রাজ্য এবং টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে দাম নির্ধারণের ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। তারপরই রাজ্যগুলির জন্য সেরাম টিকা প্রতি ৪০০ টাকা এবং ভারত বায়োটেক ৬০০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছিল।
এদিকে, সময় যত এগোচ্ছে ভারতের করোনা পরিস্থিতি ততটাই কঠিন হয়ে পড়ছে। সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুও বাড়ছে প্রতিদিন। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিল আমেরিকা এবং রাশিয়া। বৃহস্পতিবার সকালেই মস্কো থেকে দু’টি বিমান পৌঁছয় দিল্লি বিমানবন্দরে। অন্যদিকে, বুধবার রাতেই আমেরিকা থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান ভর্তি বিমান রওনা দিয়েছে ভারতের উদ্দেশ্যে।
অক্সিজেন কনসেনট্রেটর,ভেন্টিলেটর, মনিটর, ওষুধ, করোনার আর অন্যান্য দরকারি চিকিৎসার সরঞ্জাম ও উপকরণ নিয়ে ভারতে আসে দুই রাশিয়ান বিমান। রাশিয়া থেকে এসেছে- ৭৫টি ভেন্টিলেটর, ১৫০টি বেডসাইড মনিটর, ওষুধ, ২০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর।
ভারতকে সাহায্য করতে সম্পূর্ণভাবে এগিয়ে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকা থেকে ভারতে আসছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের করোনা মোকাবিলার সামগ্রী।
পৃথিবীর বৃহত্তম মার্কিন ট্র্যাভিস বায়ু সেনা বেস থেকে চিকিৎসা সামগ্রী ভর্তি প্রথম বিমান রওনা দিয়ে দিয়েছে ভারতের উদ্দেশ্যে। উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউয়ে বিপর্যস্ত আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। মার্কিন মুলুকে পাঠানো হয়েছিল প্রয়োজনীয় হাইড্রোক্লোরোকুইনাইন। এবার অবশ্য আক্রান্ত ভারতের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা।