বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র স্বীকৃতি মিলেছে দিন কয়েক আগেই। এবার আমেরিকায় শিশুদের Covaxin প্রয়োগে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন ভারত বায়োটেকের মার্কিন সহযোগী সংস্থা Ocugen Inc.-এর। ইতিমধ্যেই ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA)-র কাছে এব্যাপারে আবেদন জানিয়েছে ভারত বায়োটেকের মার্কিন সহযোগী সংস্থা।
ভারতে শিশুদের উপর Covaxin প্রয়োগের একটি ক্লিনিকাল রিপোর্টও Ocugen নামে ওই সংস্থা FDA-র হাতে জমা দিয়েছে। ভারতে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৫২৬ শিশুর উপর ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। ২৫ হাজার ৮০০ প্রাপ্তবয়স্কের উপরে Covaxin প্রয়োগে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই মার্কিন মুলুকে এবার শিশুদের উপর Covaxin প্রয়োগে ছাড়পত্র চেয়েছে ভারত বায়োটেকের আমেরিকার সহযোগী সংস্থা Ocugen Inc.। সংস্থার অন্যতম কর্ণধার তথা সংস্থার সিইও শঙ্কর মুসুনুরি বলেন, 'আমেরিকায় শিশুদের উপর জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা প্রয়োগের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অতিমারী মোকাবিলায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।'
Ocugen Inc. সংস্থার কর্ণধার শঙ্কর মুসুনুরি আরও জানিয়েছেন, বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবধানী। কোন টিকা বেশি উপযোগী তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন অনেকে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে কোন টিকা বেশি নিরাপদ ও কার্যকরী সেদিকটি খতিয়ে দেখছেন অভিভাবকরা। অনেক অভিভাবক তাঁর সন্তানকে কোন সংস্থার টিকা দেবেন তা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন।
আরও পড়ুন- দেশের কোভিডগ্রাফ নিম্নমুখী, আরও কমল অ্যাক্টিভ কেস
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন। জরুরি ভিত্তিতে এবার কোভ্যাক্সিন-এর প্রয়োগ করা যাবে বলে জানিয়েছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি না থাকায় এর আগে কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিদেশ সফরে গেলেও ভারতীয়দের সমস্যায় পড়তে হত। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন মেলায় Covaxin নিয়ে সেই দুশ্চিন্তা কেটেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য মাত্র ৬টি করোনা টিকাকে অনুমোদন দিয়েছিল। সেগুলি হল কোভিশিল্ড, মডার্না, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন