চিন সহ বিশ্বের একাধিক দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। চিনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারত সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য জারি করা হয়েছে গুচ্ছ নির্দেশিকা। বুধবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার করোনা নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়াও নতুন ন্যাজাল করোনা ভ্যাকসিনের কথা জানিয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র পেল ভারত। ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিন চিনে করোনা তাণ্ডবের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে। মনসুখ মান্ডাভিয়া রাজ্যসভায় বলেন, যে আজ বিশেষজ্ঞ কমিটিও ভারত বায়োটেক ন্যাজাল ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে, যার অর্থ আগামী দিনে কোনও ব্যক্তির ইনজেকশন লাগবে না এবং শুধুমাত্র নাকে দুই ফোঁটা দিলেই করোনাকে রুখতে তৎপর এই ভ্যাকসিন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে বিশেষজ্ঞ কমিটি ন্যাজাল ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে। বলা হচ্ছে, ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন আজ থেকে কো-উইন অ্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে এই ভ্যাকসিন শুধুমাত্র বেসরকারি হাসপাতালেই পাওয়া যাবে। খুব শীঘ্রই সরকার এটিকে সরকারি হাসপাতাল থেকে বাজারে পৌঁছে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ায় এখন আর কাউকে কোভিড টিকার জন্য ইনজেকশন নিতে হবে না, চাইলে 'নাকে দুই ফোঁটা দিয়েও' এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: < ফিরছে আতঙ্ক, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য জারি নির্দেশিকা >
'আমরা কোভিড নিয়ে রাজনীতি করিনি'
বৃহস্পতিবার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যসভায় আরও বলেন "আমরা কোভিড নিয়ে কোনও রাজনীতি করিনি। অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং সারা দেশে বড় বড় হাসপাতালে কোভিডের চিকিৎসা চলছে। আমরা দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ এবং টিকা রয়েছে ।" তিনি জানান, দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের র্যানডম আরটি-পিসিআর স্যাম্পলিংও শুরু হয়েছে। "আমরা অতিমারি মোকাবেলায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি।"
'বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতির উপর নজর রাখা'
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড প্রসঙ্গে বলেন, যে আমরা বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছি। রাজ্যগুলিকে কোভিড -১৯-এর নতুন রূপগুলির সময়মত সনাক্তকরণের জন্য জিনোম-সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।