কখনও বৃষ্টিতে ভিজে, কখনও চাষীর বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন তিনি। আজ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা তার ১০০ দিন পূর্ণ করেছে। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা মোট ২৬০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। ভারত জোড়ো যাত্রা বর্তমানে রাজস্থানে রয়েছে।
কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় এখন পর্যন্ত অনেক ‘হেভিওয়েটকে’ পা মেলাতে দেখা গিয়েছে। যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধী যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই স্থানীয় মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন, কথা বলছেন, শুনছেন নানান অভাব-অভিযোগের কথা। পছন্দের নেতাকে কাছে পেয়ে মানুষের মধ্যে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসের ছবিও দেখা গিয়েছে। যাত্রায় রাহুল গান্ধীকে বেশিরভাগ সময়েই সাদা টি-শার্ট এবং ট্রাউজার পায়ে স্পোর্টস সু পড়ে যাত্রায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে।
শিশুদের প্রতি রাহুল গান্ধীর ভালোবাসার ছবিও ধরা পড়েছে ভারত জোড়ো যাত্রায়। যেখানেই তিনি গিয়েছেন সেখানেই শিশুদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে তাদের মত করে মজা করার ছবি ধরা পড়েছে। বাচ্চাদের সঙ্গে তাঁকে নাচতে এমনকি অনেক সময় বাচ্চাদের কাঁধে তুলে নিয়ে হাঁটতেও দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে।
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার এই ছবিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি ভেজা শরীরে বক্তৃতাও দিতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। বৃষ্টির মধ্যে রাহুল গান্ধীর ভাষণ দেওয়ার ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধীও 'বুলেট' বাইকে চড়েছেন। বুলেট বাইকে বসে থাকা রাহুল গান্ধীর ছবি ভাইরাল হয়েছে। পাশাপাশি ‘বিলাসবহুল’ গরুর গাড়িতে চড়ে যাত্রায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তার এই ছবিও মানুষের নজর কেড়েছে।
যাত্রায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মা সনিয়া গান্ধীকেও। ভারত জোড়া যাত্রায় সামিল হয়েছেন অনেক ‘হেভিওয়েট’ ব্যক্তিত্ব। প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজনও ভারত জোড়া যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও তাঁর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, অর্থনীতি নিয়েও কথা হয়। বর্তমানে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা রয়েছে রাজস্থানে। রাহুল গান্ধীকে রাজস্থানের একটি গ্রামে মহিলাদের সঙ্গে একটি ‘মেশিনে’ পশুখাদ্য কাটতে দেখা গিয়েছে। তার এই ছবিও বেশ নজর কেড়েছে।
ভারত জোড় যাত্রার মাধ্যমে রাহুল গান্ধী তৃণমূল স্তরে কংগ্রেসকে 'পুনরুজ্জীবিত' করার লক্ষ্য নিয়েছেন। এর মধ্যেই সদ্য সমাপ্ত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়। তবে হিমাচল দখল করে কংগ্রেস শিবির কিছুটা হলেও লড়াইয়ে অক্সিজেন পেয়েছে।