সংশোধিত নাগরিক আইনের প্রতিবাদে যখন উত্তাল দিল্লি সে সময়ে পুলিশের হাত ফস্কে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে দিনভর আইনের রক্ষককেই ধোঁকা দিয়েছেন ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। 'লুকোচুরি' শেষে শনিবার দিল্লির জামা মসজিদেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ভীম সেনা প্রধান। উল্লেখ্য, শুক্রবার দিল্লির জামা মসজিদে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন চন্দ্রশেখর।
Advertisment
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "চন্দ্রশেখর জামা মসজিদের ১ নং গেটের কাছে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আরও তদন্তের জন্য তাঁকে ক্রাইম ব্রাঞ্চের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।" প্রসঙ্গত, শুক্রবার প্রথম থেকেই চন্দ্রশেখরের গতিবিধিতে নজর ছিল পুলিশের। জামা মসজিদে নমাজ পড়ার পর থেকেই জমায়েত শুরু হতে থাকে। রাত ২টোর সময় মসজিদের বাইরে বেরিয়ে এসে হাজার হাজার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে মাইক হাতে তুলে নিয়ে চন্দ্রশেখর বলেন, "দেশের বিরুদ্ধে এই যে লড়াই তা ঘরে বসে করা সম্ভব নয়।" এরপরই ৩.১৮ মিনিটে একটি টুইট করে তিনি বলেন, "যাদের আটক করা হয়েছে তাঁদের অবিলম্বে মুক্ত করা হোক। তাহলেই আমি আত্মসমর্পণ করব। বন্ধুরা, আপনারা আপনাদের লড়াই চালিয়ে যান একত্রিত হয়ে। জয় ভীম, জয় সংবিধান।"
শুক্রবার বিকেলেই চন্দ্রশেখর মসজিদের সামনে হাজির হওয়ার আগে থেকেই তাঁকে নজরে রাখে দিল্লি পুলিশের বেশ কয়েকটি দল। এরপর মসজিদের সামনে আসতেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু বিপুল জনতার স্রোতের মধ্যে দিয়ে পুলিশের সেই বাধা কাটিয়েই পালিয়ে যান ভীম সেনা প্রধান। এরপরেই চলতে থাকে পুলিশ-চন্দ্রশেখর 'লুকোচুরি' পর্ব। পুলিশের হাত ছাড়িয়ে আচমকাই দৌড় দেন এই নেতা। ভিড়ের মধ্যে ছুটে এক বাড়ির ছাদ থেকে অন্য বাড়ির ছাদ টপকে পালান তিনি। পিছনে পিছনে ছুটল পুলিশও।
উল্লেখ্য, জামা মসজিদে জমায়েত নিয়ে পুলিশের তরফে একাধিক কল করা হলেও সেই ফোন ধরেননি চন্দ্রশেখর আজাদ।