ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলায় দুই অভিযুক্ত অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গনসালভসের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে উভয় অভিযুক্তের জামিনের আবেদন বম্বে হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন।
ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলায় ২০১৮ সাল থেকে জেলবন্দী রয়েছেন গনসালভেস ও ফেরেইরা। দুজনকেই ২০১৮ সালেই বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে গ্রেফতার করা হয়।
ভীমা-কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এলগার পরিষদের একটি ইভেন্টে, হিংসার ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হন এবং দশ জন পুলিশ কর্মী সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ভীমা-কোরেগাঁওয়ে সংঘর্ষের পর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে পুলিশ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে ৫৮ টি মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার ভীমা কোরেগাঁও মামলার এলগার পরিষদ মামলায় দুই অভিযুক্তকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত ২০১৮ সালের ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলায় অভিযুক্ত ভারনন গনসালভেস এবং অরুণ ফেরেরার জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। শুনানির সময় আদালত বলেন, যেহেতু অভিযোগগুলো গুরুতর সেহেতু উভয় অভিযুক্তই পাঁচ বছর হেফাজতে রয়েছে।
শুক্রবার ভীমা কোরেগাঁও মামলার এলগার পরিষদ মামলায় দুই অভিযুক্ত অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গনসালভসের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যে উভয় অভিযুক্তই ৫ বছর ধরে হেফাজতে রয়েছে সেকথা উল্লেখ করে আদালত শর্ত সাপেক্ষে ২ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে অভিযুক্তদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হবে। অভিযুক্ত দুজনই এনআইএর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি গুরুতর, শুধুমাত্র জামিন অস্বীকার করার একমাত্র কারণ হতে পারে না।
বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত দুজনকে। ট্রায়াল কোর্টের অনুমতি না নিয়ে দুজনেই রাজ্য ছেড়ে যেতে পারবেন না এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থার তদন্তকারী অফিসারের কাছে তাদের পাসপোর্ট জমাও দিতে হবে তাদের। তারা কোথায় থাকেন এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে বলেই জানিয়েছে আদালত।