মানবাধিকার কর্মী গৌতম নওলাখার আবেদনের শুনানি থেকে অব্যাহতি চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের আরেক বিচারপতি। বৃহস্পতিবার এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট। এই নিয়ে পাঁচজন বিচারপতি এই মামলা থেকে অব্যাহতি চাইলেন। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে যে এফআইআর হয়েছে তা নাকচ করার আবেদন করেছিলেন গৌতম নওলাখা। বম্বে হাইকোর্ট সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। বম্বে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন গৌতম। সে মামলার শুনানি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেন পাঁচজন বিচারপতি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের সরে দাঁড়ানোর খবর দিয়েছে।
নওলাখার আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিনীত সারণ ও এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চে। এখন এই মামলার শুনানি হবে শুক্রবার ৪ অক্টোবর।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেছিলেন এই মামলার শুনানি এমন বেঞ্চে তালিকাভুক্ত করুন, যেখানে আমি নেই।
তার একদিন পরেই, গত ১ অক্টোবর বেঞ্চের তিন বিচারপতি, এন ভি রমন, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বি আর গবাই এই মামলার শুনানি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন।
২০১৭ সালের ভীমা কোরেগাঁও হিংসায় জড়িত থাকা এবং মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এই এফআইআর খারিজ করতে অস্বীকার করে বম্বে হাইকোর্ট। তাদের বক্তব্য ছিল, মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করার পর আমরা মনে করছি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মালে পুনে পুলিশ গৌতম নওলাখা এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদের বৈঠকের পরদিন পুনের ভীমা কোরেগাঁওতে হিংসা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশের অভিযোগ, গৌতম নওলাখা এনং অন্যান্যরা মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত এবং সরকার উৎখাতের জন্য সক্রিয়।
তবে হাইকোর্ট গৌতম নওলাখাকে গ্রেফতারি থেকে তিন সপ্তাহের সুরক্ষা মঞ্জুর করে, যাতে তিনি হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করতে পারেন।
নওলাখা এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গনজালভেজ এবং সুধা ভরদ্বাজ।
Read the Full Story in English