এলগার পরিষদ কাণ্ডে ধৃত সমাজকর্মীদের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ আরও একদিন বাড়াল শীর্ষ আদালত

পুনেতে আয়োজিত এলগার পরিষদের অনুষ্ঠানের পরদিন বিভিন্ন জায়গায় যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে যোগাযোগ ছিল মাওবাদীদের, এমনটাই অভিযোগ পুলিশের।

পুনেতে আয়োজিত এলগার পরিষদের অনুষ্ঠানের পরদিন বিভিন্ন জায়গায় যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে যোগাযোগ ছিল মাওবাদীদের, এমনটাই অভিযোগ পুলিশের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মাওবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর চক্রান্তে যুক্ত থাকার অভিযোগ।

এর আগে দু'দফায় গৃহবন্দি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার শীর্ষ আদালত এলগার পরিষদ কাণ্ডে ধৃত পাঁচ সমাজকর্মীর গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ আরও এক দিন বাড়ানোর নির্দেশ দিল। ভীমা কোরেগাঁও হিংসার তদন্তে নেমে গত মাসের শেষ সপ্তাহে  ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গনজালভেজ ও গৌতম নওলাখাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার সহ আরও চার জনের করা আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানি চালাবে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি খানউইলকর।

Advertisment

গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পুনেতে আয়োজিত এলগার পরিষদের অনুষ্ঠানের পরদিন বিভিন্ন জায়গায় যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে যোগাযোগ ছিল মাওবাদীদের, এমনটাই অভিযোগ পুলিশের। সেই ঘটনার জেরে পুলিশ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৭ জন অ্যাক্টিভিস্ট ও আইনজীবীদের বাড়িতে হানা দেয়। পরে এদের মধ্যে পাঁচ সমাজকর্মীকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ কাণ্ডে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ সমাজকর্মীদের

গত ১৭ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে বলা হয়েছিল, তদন্তে যদি ধরা পড়ে, প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে তবে বিশেষ তদন্তকারী দল (স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম) বা এসআইটি   গঠন করা হতে পারে। ঠিক কী কী কারণে পাঁচ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ।

Advertisment

এর আগে শুনানির সময়ে সরকারের তরফে আবেদনকারীদের সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি আবেদন করার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলা হয়। যেভাবে আবেদনকারীরা সরাসরি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, সে নিয়ে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘সমস্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে আসতে পারে না। এটা পদ্ধতি হিসেবে ঠিক নয়। ওঁরা নিম্ন আদালতে যেতে পারতেন, হাইকোর্টে যেতে পারতেন, কিম্বা অন্য কোনও আইনি পদ্ধতিতের আশ্রয় নিতে পারতেন।

Maoist Human Rights supreme court Elgaar Parishad