রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানিকে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক হিসাবে আমন্ত্রণের জেরে তুমুল বিতর্ক। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবনার বিরোধিতায় সরব হলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য-ভাবমূর্তিতে আঘাত হানা হবে। ভুল উদাহরণ তৈরি করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ, এমনটাই দাবি পড়ুয়াদের।
মঙ্গলবার প্রায় জনা চল্লিশেক পড়ুয়া উপাচার্য রাকেশ ভটনাগরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। সম্প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তরফে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের কাছে নীতা আম্বানিকে মহিলা অধ্যয়ন কেন্দ্রে অতিথি অধ্যাপক হিসাবে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
যদিও নীতা আম্বানিকেই এখনও পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধনকুবের গৌতম আদানির স্ত্রী প্রীতি আদানি এবং ব্রিটেন নিবাসী শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তলের স্ত্রী ঊষা মিত্তলকেও অতিথি অধ্যাপক হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২০ বছর আগে নির্মিত সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের মহিলা অধ্যয়ন কেন্দ্রের অতিথি অধ্যাপকের তিনটি পদ খালি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক শুভম তিওয়ারি জানিয়েছেন, "এই সিদ্ধান্ত একটা বিরাট ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র। একজন ধনকুবেরের স্ত্রী হওয়া কোনও বিরাট সাফল্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভুল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাইছে। এরা মোটেও আমাদের আইকন নন। যদি তাঁরা নারী শক্তি বিকাশের কথা বলেন, তাহলে অরুনিমা সিনহা, বাচেন্দ্রি পাল, মেরি কম বা কিরণ বেদির মতো আইকনরা এই পদের জন্য যোগ্য লোক।"