Advertisment

'দেশদ্রোহিতার প্রমাণ নেই', জামিন মুক্ত শাহিন স্কুলের ৫ আধিকারিক

ওই স্কুলে পড়ুয়াদের সিএএ বিরোধী নাটক সমাজে সম্প্রীতি বিঘ্নিত করেনি বলেই মনে করে আদালত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

'দেশদ্রোহিতা' মামলায় জামিনে মুক্ত বিদারের শাহিন স্কুলের ৫ কর্মকর্তা। ওই স্কুলে পড়ুয়াদের সিএএ বিরোধী নাটক সমাজে সম্প্রীতি বিঘ্নিত করেনি। এমনটাই মনে করে জেলা সেশন জজ আদাতল। তাই জামিন দেওয়া হল 'দেশদ্রোহিতার' মামলায় অভিযুক্তদের। এর আগে বিদার স্কুলের পড়ুয়ার মা ও প্রধান শিক্ষিকাকে জামিনে মুক্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত।

Advertisment

আদালতের পর্যবেক্ষণ, নথি দেখাতে না পারলে দেশ ছাড়তে হবে। নাটকের মাধ্যমে পড়ুয়ারা সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল। এছাড়া রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধ সংগঠিত করার মত আর কিছুই সেখানে দেখানোর চেষ্টা হয়নি।

৩ মার্চ আদালত শাহিন স্কুল গ্রুপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাদির, প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন সহ তিন আধিকারিককে ব্যক্তিগত ২ লক্ষ টাকা বন্ডের বিনিময়ে জামিনের নির্দেশ দেয়। এছাড়াও জামিন দেওয়া হয়েছে, মহম্মদ ইউসুফকে। এই ইউসুফের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেই সোশাল মিডিয়ায় পড়ুয়াদের সেই নাটক প্রকাশিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন: জামিনে মুক্ত ‘দেশদ্রোহী’ মায়ের সঙ্গে মেয়ের দেখা

ঘটনার সূত্রপাত গত ২১ জানুয়ারি। সেদিন স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। ওই নাটকে ‘দেশবিরোধী’ বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে এবং সিএএ বিরোধী বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে গত ২৬ জানুয়ারি পুলিশের দ্বারস্থ হন এক এবিভিপি কর্মী। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদারের ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় স্কুলের ৯ বছর বয়সী এক পড়ুয়ার মাকে নাজমুন্নিসাকে।

ওই নাটকে পড়ুয়ারা বলেছিল প্রধানমন্ত্রীকে 'চপ্পল' মারার কথা। যা নিয়েই মামলার আবেদনকারীর মূলত সরব হয়েছিলেন। কিন্তু, এক্ষেত্রে ব্যক্তি মোদীকেই আদালতে সম্মান হানি হয়েছে বলে আর্জি জানাতে হত। যা এক্ষেত্রে হয়নি। আইনের শাসনে থেকেই সিএএ-এনআরসি বিরোধিতা করা যায় বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে আদালত।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

caa
Advertisment