Advertisment

জি-২০-এর মঞ্চ থেকে চিনের পাঁজর ভেঙে দিলেন মোদী-বাইডেন, 'রিয়েল ডিল'-এর ঘোষণায় বাজিমাত ভারতের  

"ইন্ডিয়া মিডল ইস্ট ইউরোপ ইকোনমিক করিডোর" নিয়ে বিরাট ঘোষণা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
"President Joe Biden,India Middle East Europe Economic Corridor,US President Joe Biden big announcement from G20, that 8 countries will jointly build India Middle East Europe Economic Corridor

"ইন্ডিয়া মিডল ইস্ট ইউরোপ ইকোনমিক করিডোর" নিয়ে বিরাট ঘোষণা।

জি-২০-এর মঞ্চ থেকে চিনের পাঁজর ভেঙে দিলেন মোদী-বাইডেন, 'রিয়েল ডিল'-এর ফলে নতজানু হয়ে পড়বে চিন। "ইন্ডিয়া মিডল ইস্ট ইউরোপ ইকোনমিক করিডোর" নিয়ে বিরাট ঘোষণা। বিশ্ব শাসন করবে ভারত-আমেরিকা।  

Advertisment

G-20 প্ল্যাটফর্ম থেকে ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত অর্থনৈতিক করিডোর ঘোষণা করে চিনকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে চিনের বাজার ও অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। এই করিডোর নির্মাণের পর বাণিজ্য যোগাযোগের কারণে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থান অত্যন্ত শক্তিশালী হবে। দ্রুত বদলে যাবে ভারতীয় অর্থনীতির প্রেক্ষাপট।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন G-20 ফোরাম থেকে ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত অর্থনৈতিক করিডোর ঘোষণা করের চিনের ‘ওয়ান রোড ওয়ান বেল্ট প্রকল্প’ (বিআরআই) বাতিল করেছেন।  এর মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতির ভোলবদল হবে বুলেট গতিতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিশ্বের ৮টি দেশ যৌথভাবে ভারত মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি করবে। এটি ভারত থেকে ইসরায়েল ও ইউরোপে যাবে। মোদী এবং জো বিডেনের এই বাজি চিনের বাজারে ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বের অনেক দেশে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য করা আগের তুলনায় আরও সহজ হবে। এছাড়াও, ভারত-আমেরিকা অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।

ভারত ছাড়াও এই ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক করিডোরে আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই করিডোর ভারত থেকে জর্ডান ও ইসরায়েল পর্যন্ত যাবে। এর আগে চিন বেল্ট অ্যান্ড রোড-এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছিল। তবে চিনের এই প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হতে পারেনি। এদিকে ভারত থেকে ইউরোপে যাওয়ার এই নতুন করিডোরের ঘোষণায় হতবাক চিনও। এটি ভারতের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই করিডর থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেতে চলেছে ভারত। এর মাধ্যমে ভারতের উন্নয়ন ও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার স্বপ্নও পূরণ হবে। এই অর্থনৈতিক করিডর ঘোষণার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী প্রজন্ম এটা মনে রাখবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতে G-20 শীর্ষ সম্মেলন জমকালোভাবে আয়োজন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। করিডোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি বড় চুক্তি। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার হল G-20 সম্মেলনের ফোকাস। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক করিডোর চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোরের সূচনা প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমি আমার বন্ধু রাষ্ট্রপতি জো বিডেনের সঙ্গে এই ইভেন্টের সভাপতিত্ব করতে পেরে খুব খুশি। আজ আমরা সবাই একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক চুক্তি সমাপ্ত হতে দেখেছি। বিশ্বজুড়ে সংযোগ ও উন্নয়নের শক্তিশালী দিকনির্দেশ করবে এই চ্যুক্তি”।  

modi G-20 Summit Biden
Advertisment