Advertisment

সৌদির যুবরাজের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, মোদীর উদাহরণ টানল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন খাশোগির প্রাক্তন বাগদত্তা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Supreme Court dismisses plea challenging delimitation in Jammu and Kashmir

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। এমনটা বিবৃতিতে উল্লেখ করায় এখন সমালোচনার মুখে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের সাফাই, এটা নতুন কিছুই নয়। অতীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বহু রাষ্ট্রনেতাই এমনভাবে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ওই সব রাষ্ট্রপ্রধানরা নিজেদের দেশে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

Advertisment

সেই অনুযায়ীই কি ওই সব রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বদলে গিয়েছে? ভবিষ্যতে এমনভাবে ছাড় পেলে, অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতিও কি ওয়াশিংটনের মনোভাব বদলাবে? এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন বিদেশ দফতরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, 'এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার করছে না। এটি দীর্ঘদিন এবং ধারাবাহিক ভাবেই ঘটছে।'

প্যাটেল জানান, অতীতে অনেক রাষ্ট্রপ্রধানদের ক্ষেত্রেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, '১৯৯৩ সালে হাইতির প্রেসিডেন্ট অ্যারিস্টাইড, ২০০১ সালে জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবে, ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ২০১৮ সালে ডিআরসির প্রেসিডেন্ট কাবিলার বিরুদ্ধেও একই নীতি নেওয়া হয়েছে।'

আরও পড়ুন- মাস্কের শ্রমিকবিরোধী পরিকল্পনা মানতে নারাজ কর্মীরা, টুইটারে পদত্যাগের হিড়িক

একসময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সরকার ২০০২ সালের দাঙ্গা থামাতে কিছুই করেনি। এমন অভিযোগের পরে ২০০৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মোদীর ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছিল। নিষেধাজ্ঞাটি ২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রত্যাহার হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সময়ও তার নীতি বদলায়নি বলেই জানিয়েছেন প্যাটেল। প্যাটেল জানিয়েছেন যে এইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিরকালই রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারের প্রধান এবং বিদেশমন্ত্রীদের প্রতি মনোভাবের পরিবর্তন করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবারই বাইডেন প্রশাসন জানায় যে মহম্মদ বিন সলমনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারপরই খাশোগির প্রাক্তন বাগদত্তা প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে খাশোগিকে তুরস্কের সৌদি দূতাবাসের এজেন্টরা হত্যা করেছিল। মার্কিন গোয়েন্দাদের বিশ্বাস, ওই অভিযানটি সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের নির্দেশেই চালানো হয়েছিল। বেশ কিছু বছর ধরে মহম্মদ বিন সলমনই সৌদির প্রকৃত শাসক হয়ে উঠেছেন। সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের বাদশা সলমন বিন আবদুল আজিজ, তাঁর ছেলে ও উত্তরাধিকারী যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনকে সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

Read full story in English

saudi arabia USA Modi Government
Advertisment