যুদ্ধবিরতির অংশ হিসাবে হামাসের হাতে আটক আরও ১৭ বন্দিকে রবিবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে তৃতীয় দফায় বন্দিমুক্তির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ভাষণে বলেন, তার লক্ষ্য যুদ্ধবিরতি বাড়ানো। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
আমেরিকানসহ মোট ১৭ বন্দি মুক্তির প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন- 'সবাই দেশে না ফেরা পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না'
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামাসের হাতে এক মার্কিন নাগরিক সহ মোট ১৭ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হামাসের হাতে আটক সকল বন্দিদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা থেমে থাকব না এবং এ ব্যাপারে কাজ চালিয়ে যাব। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমেরিকা পশ্চিম এশিয়ার একাধিক দেশের সঙ্গে এবিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
রবিবার হামাস গাজায় আটক ১৭ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। যার মধ্যে চার বছর বয়সী মার্কিন কিশোরীও রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে বাইডেন আবারও সকল বন্দি মুক্তির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন যে হামাসের হাতে আটক সকল বন্দিদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমেরিকা কাজ চালিয়ে যাবে।
প্রেসিডেন্ট বিডেন বলেন, আমেরিকা পশ্চিম এশিয়ার অনেক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তিনি আরও বলেন, আমরা কাতার, মিশর এবং ইজরায়েলের নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছি এবং গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রত্যেকের সঙ্গে বারবার কথা বলছি।
গাজা থেকে হামাসের হাতে আটক বন্দি মুক্তি প্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, দু'পক্ষের মধ্যে চুক্তির আওতায় গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধ সাময়িক ভাবে এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, হামাস থাই, ফিলিপিনো এবং রাশিয়ান নাগরিক সহ ৫৮ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
জো বাইডেন বলেছেন, যে তিনি আশা করেছিলেন যে যতক্ষণ বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ দু'পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি অব্যাহত থাকবে । জো বাইডেন বিশ্বাস করেন যে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধে একটি 'দুই রাষ্ট্র সমাধান' আবির্ভূত হওয়া উচিত। বাইডেন আরও বলেন, আমেরিকা ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে আটক মার্কিনীদের মুক্তির জন্য'।