কারিগরি ক্ষেত্রে চিনকে টেক্কা দিতে এবার ২৮ হাজার কোটি টাকার CHIPS আইন স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই আইন অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত উৎপাদনকে উৎসাহিত করবে ওয়াশিংটন। বিশ্ববাজারে কারিগরি ক্ষেত্রে চিন ইতিমধ্যেই দাগ কেটেছে।
বিশ্বের এক বিস্তীর্ণ বাজার দখল করে নিয়েছে চিনের তৈরি পণ্য। আর, তার প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়। চিনা পণ্য যতটা টেকসই, তার সঙ্গে পাল্লাই দিতে পারছে না অন্যান্য দেশের পণ্য। অথবা, দেখা যাচ্ছে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে চিনের পণ্য যতখুশি ব্যবহার করা যাচ্ছে। তারপর, সেই পণ্য ফেলে দিতে হচ্ছে। তাতেও যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন ক্রেতা।
এভাবেই চিনের পণ্য বিভিন্ন দেশের বাজারে কার্যত একচেটিয়া ব্যবসা করছে। বিশেষ করে এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে চিনের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাজারে এভাবে চিনা পণ্যের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে কারিগরি দ্রব্য উৎপাদনে বিশেষ নজর দিতে। আর, সেই জন্যই CHIPS আইন স্বাক্ষর করলেন বাইডেন।
আরও পড়ুন- ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ নাটক, আর মোদী ‘নাট্যকার’, কটাক্ষ কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার
মঙ্গলবার রোজ গার্ডেনের অনুষ্ঠানে শীর্ষস্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারি, স্থানীয় রাজনীতিবিদ থেকে শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এই আইনের ফলে আমেরিকার কারিগরি পণ্য তৈরির শিল্পে বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে। বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি, উৎপাদিত অতিরিক্ত পণ্য বিদেশে রফতানি করাও সহজ হবে। আইনে স্বাক্ষর করতে গিয়ে বাইডেন বলেন, 'আমেরিকার জন্য এটা আসলে আমাদের বিনিয়োগ। আমরা আমেরিকায় এটা করতে চলেছি। আমরা আমেরিকায় ২১ শতকের প্রতিযোগিতায় জিততে চলেছি।'
হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, এই আইনের কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা উৎসাহ প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে মাইক্রোন সংস্থা মেমরি চিপের অভ্যন্তরীণ উত্পাদনকে উত্সাহিত করতে ৪,০০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। কোয়ালকম এবং গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ সংস্থা নিউইয়র্কে উন্নতমানের চিপ প্ল্যান্টের জন্য ৪,২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
Read full story in English