বলা নেই, কওয়া নেই। আচমকা, সোমবার ইউক্রেন সফর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাজধানী কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে করলেন সাক্ষাৎ। সামনেই ইউক্রেনে রুশ হামলার বর্ষপূর্তি হতে চলল। তার আগে, এই ঝটিকা সফরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুঝিয়ে দেওয়ার কসুর করলেন না যে রাশিয়া ইউক্রেনে নাকাল হয়েছে। কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে কার্যত রুশ প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যেই ছুড়ে দিলেন অট্টহাসি। বললেন, কিয়েভ আজও টিকে আছে।
সফরে জেলেনস্কির সঙ্গে মেরিনস্কি প্রাসাদে ঘণ্টা পাঁচেক কাটিয়েছেন বাইডেন। তার মধ্যেই রুশ হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে শহিদ হওয়া ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। মার্কিন দূতাবাসের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাইডেন জানিয়েছেন, একবছর আগে মনে হচ্ছিল রাশিয়া যেন ইউক্রেনটা দখলই করে নিল। এরপরই তিনি বলেন, 'একবছর পরও কিয়েভ এখনও টিকে আছে।' বাইডেন যখন এই কথা বলছেন, তখন তাঁর মঞ্চ সাজানো ছিল আমেরিকা এবং ইউক্রেনের জাতীয় পতাকা দিয়ে।
তার মধ্যেই বাইডেন বলতে থাকেন, 'ইউক্রেন টিকে আছে। গণতন্ত্র টিকে আছে। আমেরিকানরা আপনাদের পাশে আছে। বিশ্ব আপনাদের পাশে আছে।' বাইডেনের এই সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঘটল। কারণ, বর্তমানে রাশিয়া এবং ইউক্রেন- উভয়পক্ষই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বসন্তে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও তীব্র হবে। সেকথা মাথায় রেখে জেলেনস্কি বর্তমানে আমেরিকা-সহ ইউরোপের দেশগুলোর কাছে আরও অস্ত্রের দাবি জানাচ্ছেন। যুদ্ধবিমান দেওয়ার দাবি করেছেন। কিন্তু, যুদ্ধবিমান দেওয়ার ব্যাপারে বাইডেন এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও আশ্বাসই দেননি।
আরও পড়ুন- চিনকে নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা, মস্কোকে সাহায্য করছে বেজিং?
তবে, কিয়েভে অতিরিক্ত ৫০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসাহায্যের ঘোষণা করেছেন বাইডেন। আগেই ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ইউক্রেনকে দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক হাউইৎজার, অ্যান্টি ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র, বিমানের ওপর নজরদারি চালানোর মত রাডার-সহ যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় সররঞ্জাম দিয়েছে। কিন্তু, যুদ্ধবিমানের মত অতিপ্রয়োজনীয় এবং অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত বাইডেনের প্রশাসন রা কাড়েনি।