জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করা নিয়ে সুর চড়াল চিন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বৃহস্পতিবারই পথচলা শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। আর সেদিনেই ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে সোচ্চার হল ড্রাগনের দেশ। জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্ত ‘বেআইনি’ বলে সরব হয়েছে বেজিং। পাশাপাশি চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং ঝুয়াং বলেছেন, তথাকথিত জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে চিনের অংশও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
Advertisment
এ প্রসঙ্গে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। যার মধ্যে চিনার অংশও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানাচ্ছে চিন। ভারত একতরফা ভাবে দেশীয় আইন বদলেছে। এটা বেআইনি। কোনওভাবেই কার্যকর করা যায় না’’।
এ প্রসঙ্গে চিনকে পাল্টা জবাব দিয়েছে নয়া দিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেছেন, ‘‘এ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে চিন যথেষ্ট অবগত। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্ত ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা আশা করি না, চিন-সহ অন্য দেশ ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করুক। ঠিক যেমন ভারত অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না’’।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যুতে প্রথম থেকে বিরোধিতা জানিয়ে আসছিল পাকিস্তান। এমনকি, এ ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘেও সোচ্চার হয়েছে ইমরান খান সরকার। কিন্তু বরাবরই নিজের অবস্থানে অনড় মনোভাব দেখিয়েছে নয়া দিল্লি। এদিন কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ বলে পরিচিত চিন যেভাবে সরব হল তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ।