দেশে বাঘ গণনার কাজ শেষ হয়েছে। রবিবার তার পরিসংখ্যান প্রকাশ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসুন জেনে নিই কিভাবে বাঘ গণনা করা হয়। প্রজেক্ট টাইগারের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে, মাইসুরুতে একটি মেগা ইভেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাঘের সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। কিন্তু জানেন কি বাঘ গণনা করা হয় কিভাবে?
প্রায় পাঁচ দশক আগে ১৯৭৩ সালের ১লা এপ্রিল ভারত বাঘ সংরক্ষণে সবচেয়ে বড় অভিযান শুরু করেছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল- প্রজেক্ট টাইগার। তারপর থেকে দেশে বাঘের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আজ বিশ্বের বাঘের মোট সংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশই রয়েছে ভারতে। প্রতি বছর এই সংখ্যা ৬ শতাংশ হারে বাড়ছে।
প্রকল্পের শুরুতে ৯টি বাঘ সংরক্ষণাগার কেন্দ্র ছিল। আজ ৫০ বছর পর এটি ৫৩টি বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যার পরিসর ৭৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এত বড় এলাকায় বাঘ গণনার কাজ মোটেও সহজ কাজ নয়।
১৯৭৩ সালে যখন প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল, বন বিভাগের কর্মীরা বাঘের পায়ের ছাপ চিহ্নিত করতে কাচ এবং বাটার পেপার ব্যবহার করতেন। জেনে অবাক হবেন যে, মানুষের মতোই প্রতিটি বাঘেরই নিজস্ব অনন্য পায়ের ছাপ রয়েছে।
রেঞ্জাররা বাঘের পায়ের চিহ্নগুলি এঁকে নেনে বাটার পেপারের ওপর। এবং ভবিষ্যতে সেই বাঘটিকে ট্র্যাক করার জন্য ওই ছাপটি কাজে লাগানো হত। যদিও এটি এত সহজ নয়। বাঘের দাঁড়ানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং দৌড়ানোর সময় তার পায়ের ছাপের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বছরের পর বছর অনুশীলনের পর, বাঘ গণনার পদ্ধতির বেশ কিছু বদল ঘটে এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা ক্যাপচার-মার্ক-এন্ড-ক্যাপচার পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেন। এতে বড় পরিসরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যার ভিত্তিতে বাঘের সংখ্যা অনুমান করা হয়।
বাঘের নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, কত বেড়েছে জেনে নিন
বাঘের নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩, ১৬৭। আগে এই সংখ্যা ছিল ২,৯৬৭। দেশে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে ২০০টি।