একসময় যে সব রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছিল একেবারে হাতে গোনা। এবার সেই সব রাজ্যেই হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। নয়া প্রকোপের জের দেখে ইতিমধ্যেই উত্তপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশে উচ্চ পর্যায়ের দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। অপরদিকে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও অন্ধ্র প্রদেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বেড়েছে। বিষয়টি অব্যাহত রয়েছে। হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ এমনকি হিমাচল প্রদেশও অ্যাটিভ কেস উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ গত দশ সপ্তাহে সর্বাধিক কেস দেখা গিয়েছে। শীর্ষ দশে রাজ্যের মধ্যে ঢুকে পড়েছে যোগী রাজ্যও। যদিও শীর্ষে এখনও দিল্লি এবং কেরালা। প্রতিদিন সর্বোচ্চ সংখ্যক নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নথিভুক্ত হচ্ছে এই দুই রাজ্যে। দুই রাজ্যের মধ্যেই চলছে জোর টক্কর।
রিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ এমনকি হিমাচল প্রদেশে এর আগে যে রিপোর্ট দিচ্ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি আক্রান্তের সংখ্যা উঠে আসছে। কিছুদিন আগে একই কেন্দ্রীয় দল রাজস্থান, গুজরাট, হরিয়ানা এবং ছত্তিসগড়েও পাঠানো হয়েছিল। দেশে ফের ০.৪৫ শতাংশ হারে বাড়ছে সংক্রমণ। দিল্লি, কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় হারের চেয়ে বেশি হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, রাজ্যের মানুষ "সংযম ও শৃঙ্খলা" থাকার কারণে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। যদিও সতর্কতামূলক নিয়ম না মানলে আগামী দিনে করোনার 'সুনামি' আছড়ে পড়তে পারে আরব সাগর তীরের রাজ্যটিতে। সাফ জানান এই পরিসংখ্যান দেখে আত্মতুষ্টি থেকে নিয়ম না মানা হলে করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় সুনামি এসে পড়বে মহারাষ্ট্রে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন