Advertisment

মুজফফরপুর হোমে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে আত্মসমর্পণ বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জু ভার্মার

গত ৩১ অক্টোবর বিহার সরকার শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিল মঞ্জু ভার্মা নিখোঁজ। মঞ্জুর স্বামী চন্দ্রশেখর ভার্মা গত মাসেই বিহারের এক জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মঞ্জু ভার্মা

মঙ্গলবার বেগুসরাই-এর এক আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন জেডিইউ নেত্রী এবং বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জু ভার্মা। মুজাফফরপুর শেল্টার হোমে ধর্ষণের এক মামলায় তার নাম জড়িয়েছিল। বিগত কয়েকদিন ধরে পলাতক ছিলেন মঞ্জু ভার্মা। ধর্ষণ কাণ্ডের জেরে সিবিআই প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করেছিল।

Advertisment

গত সপ্তাহের শুরুতে বিহারের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কাছে শীর্ষ আদালত জানতে চায়, কেন তদন্তের স্বার্থে এক প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা কেন? সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বিহার পুলিশের ডিরেক্টর জেনেরালকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। ২৭ নভেম্বরের মধ্যে জেডিইউ নেত্রী মঞ্জু ভার্মাকে গ্রেফতার করা না গেলে ডিরেক্টর জেনেরালকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন, ‘যতটা খারাপ থাকা যায়, তার চেয়েও ভয়াবহ’, বিহারের মহিলা পুনর্বাসন কেন্দ্র ঘুরে জানাল টিসের দল

গত ৩১ অক্টোবর বিহার সরকার শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিল মঞ্জু ভার্মা নিখোঁজ। মঞ্জুর স্বামী চন্দ্রশেখর ভার্মা গত মাসেই বিহারের এক জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। চন্দ্রশেখরের নামও জড়িয়েছিল মুজাফফরপুর শেল্টার হোমের ধর্ষণ কাণ্ডে। তদন্তের খাতিরে গত ১৭ আগস্ট ভার্মাদের পাটনা এবং বেগুসারাই-এর বাসভবনে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তল্লাশির ফলে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়।

শেল্টার হোমে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ্যে এলে বিহারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন।  ঘটনার তদন্তে ধরা পড়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরের সঙ্গে মঞ্জুর স্বামী চন্দ্রশেখর ভার্মার ঘন ঘন কথা হয়েছিল। চন্দ্রশেখর নিজে ওই হোমের মালিক ছিলেন। টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর তরফ থেকে এক রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর প্রথম মুজাফফরপুর শেল্টার হোমে ধর্ষণ এবং যৌন অত্যাচারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

cbi
Advertisment