বিহারে কোভিড টেস্টের দুর্নীতি নিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে তদন্তমূলক প্রতিবেদনের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। চুপ নেই বিরোধীরাও। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সাংসদ মনোজ ঝা শুক্রবার এই কেলেঙ্কারির জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করে রাজ্যসভায় সোচ্চার হলেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট উল্লেখ করে, বিহারে কোভিড পরিসংখ্যান নিয়ে সরকার জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ করেন।
তিনি এদিন রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে বলেন, "গত দুদিন ধরে জনপ্রিয় জাতীয় সংবাদপত্র বিহারে কোভিড টেস্টের জালিয়াতি নিয়ে প্রতিবেদন বের করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক সপ্তাহে টেস্ট হয়েছে এক লক্ষের আর সেটাই দুসপ্তাহে ২ লক্ষ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অনেক কলাম টেস্টিং তথ্যে খালি রাখা হচ্ছে। বেশ কিছু কোভিড টেস্টের রোগীদের মোবাইল নম্বরের জায়গায় ১০টি শূন্য লেখা রয়েছে। নাম এবং মোবাইল নম্বরের সঙ্গে ব্যক্তির পরিচিতি মিলছে না। এই কারণে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত প্রয়োজন।"
আরজেডি সাংসদের আরও পরামর্শ, সরকারি সংস্থাগুলির আধার কার্ড-প্যান কার্ড ও অন্যান্য বৈধ নথি জমা নেওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যবিভাগকে উপহাসের পাত্র কেউ না করতে পারে। সাংসদের বক্তব্যকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছেন। গত তিনদিনে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তে উঠে এসেছে, বিহারের তিনটি জেলায় এইভাবে কোভিড টেস্টের পরিসংখ্যান নিয়ে কেলেঙ্কারি হয়েছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জামুই, শেখপুরা এবং পাটনাতে ছয়টি পিএইচসি পরিদর্শন করে। ১৬, ১৮ এবং ২৫ জানুয়ারীর মধ্যে যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে তা খতিয়েও দেখে। জামুইতে তিনটি পিএইচসি-তে ৫৮৮টি করোনা পরীক্ষার সন্ধান পাওয়া যায়। যেখানে সব রিপোর্ট নেগেটিভ। এর পরই সেখানকার বিভিন্ন কর্মীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলা হয়। হাতে আসে ভুয়ো নথি। যেখানে নাম থেকে ফোন নাম্বার সবটাই মিথ্যে। করোনার দৈনিক পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্যই এই কাজ করা হয়েছিল, এমনটাই মানছে অনেকে।