সীমান্ত বিবাদ না মেটা পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হবে না। চিনা ফৌজের আগ্রাসনই দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ করেছে বলে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উইকে জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিন ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকে খোলাখুলি এবং সৌজন্যমূলক আলোচনা হয়েছে বলে দাবি বিদেশমন্ত্রীর। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, সীমান্তে ফৌজ সরানোর মধ্যে দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ফের জোড়া লাগানোই হল বেজিংয়ের মূল অঙ্গীকার।
পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে দুই দেশের সেনাস্তরে ১৫ রাউন্ড বৈঠক হয়েছে। মন্ত্রী এদিন বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির জন্য কাজ চলছে। জয়শঙ্কর আরও জানিয়েছেন, তিনটি বিষয় সম্পর্ক জোড়া লাগানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ- সম্মান, মৌখিক সমঝোতা এবং মূল স্বার্থ। তিনি বলেছেন, ইসলামিক কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন বা ওআইসি- সম্মেলন পাকিস্তানের মাটিতে কাশ্মীর নিয়ে ওয়াং যে মন্তব্য করেছেন, যা আগেই ভারত সরকার নিন্দা করেছে, তা এদিনের বৈঠকে ওঠে।
জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ব্রিকস সম্মেলন এবার হবে চিনে। তার জন্য বেজিং চাইছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাতে অংশগ্রহণ করুন। তবে কোয়াড বা ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেন। আফগানিস্তান, সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত পাকিস্তানে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারও বৈঠকে ওঠে। জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, চিনে পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের সমস্যা নিয়েও কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন ভারত সফরে চিনের বিদেশমন্ত্রী, আজ বৈঠক জয়শঙ্কর-দোভালের সঙ্গে
এর আগে জয়শঙ্কর চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়ে টুইট করেন। লেখেন, হায়দরাবাদ হাউসে চিনা বিদেশমন্ত্রীকে স্বাগত জানালাম। সেই বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও উপস্থিত ছিলেন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সরানো নিয়ে তিনি মতামত রাখেন। যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মসৃণ থাকে। শেষবার ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ওয়াং ভারত সফরে আসেন। তার পরের বছর ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে চিনা ফৌজের বেশ কয়েকজন নিহত এবং এক কর্নেল-সহ ২০ জন জওয়ান শহিদ হন।