বিলকিস বানো গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যকে হত্যার অপরাধীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। এই পরিস্থিতিতে বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। জরুরিভিত্তিতে মামলাটি তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা।
Advertisment
গুজরাট সরকার এ বছর ১৫ অগাস্ট, ২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ ও ৭ জনের হত্যা মামলায় ১১ জন দোষীকে মুক্তি দেয়। দ্রুত জেলমুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল অপরাধী রাধেশ্যাম শাহ। দোষী প্রত্যেককেই ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। দোষীরা ১৫ বছর ৪ মাস জেলবন্দি ছিল।
গোধরা পরবর্তী হিংসার সময় ২০০২ সালের ৩রা মার্চ বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তাঁর তিন বছর বয়সী মেয়ে সালেহা নিহত ১৪ জনের মধ্যে ছিল। সালেহাকে পাথকে আছড়ে মেরে অপগাধীরা হত্যা করে বলে অভিযোগ। এই নারকীয় ঘটনার সময় বিলকি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ বলে জানিয়েছিল মুম্বইয়ের সিবিআই আদালত।
দোষীদের ছাড়া পাওয়ার পর বিলকিস বানো বলেছিলেন, 'আমি বাকরুদ্ধ। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি—কীভাবে কোনও নারীর প্রতি অপরাধের বিচার এইভাবে শেষ হতে পারে? আমি আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ওপর আস্থা রেখেছি। আমি সিস্টেমের উপর আস্থা রেখেছিলাম এবং আমি ধীরে ধীরে আমার ট্রমা নিয়ে বাঁচতে শিখছিলাম। এইঅপরাধীদের মুক্তি আমার কাছ থেকে আমার শান্তি কেড়ে নিয়েছে এবং ন্যায়বিচারের প্রতি আমার বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিয়েছে।'