দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে বিলকিস বানোর আবেদনের শুনানি করবে আজ শীর্ষ আদালত। বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্নের ডিভিশন বেঞ্চ বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করবে। বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী গত ৪ জানুয়ারি শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেন।
২০০২ সালে বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ জন আসামির অকাল মুক্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। বিলকিস বানোর আবেদনের ভিত্তিতে আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিভি নাগরত্নের বেঞ্চ সেই আবেদনের শুনানি করবেন।যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গত বছর গুজরাট সরকার মুক্তি দিয়েছিল।
বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ আসামির অকাল মুক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি হবে আজ সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি বিভি নাগরত্নের বেঞ্চ আজ এই মামলার শুনানি করবেন। গুজরাট সরকারের ১১ আসামিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দ্ল। একই সঙ্গে দোষীদের অকাল মুক্তির দাবিতে সরবন হক খোদ বিলকিস বানো। তিনিও দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন।
গত সপ্তাহে, প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলার আবেদন শোনার জন্য একটি নতুন বেঞ্চ গঠন করতে সম্মত হয়েছেন। পিটিশনে বিলকিস বানো বলেছিলেন যে সমস্ত দোষীদের বেকসুর খালাস শুধুমাত্র আবেদনকারীর জন্যই নয়, তার প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাদের, তার পরিবারকে হতাশ করেছে। পাশাপাশি, পুরো সমাজের কাছে এক ভুল বার্তা গেছে। গুজরাট সরকার ১১ জন আসামীকে গত বছরের ১৫ আগস্ট মুক্তি দেয়।
বিলকিস বানো তার আবেদনে বলেন, ১১ জন দোষীর অকাল মুক্তিতে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত, বিচলিত এবং হতাশ। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন সময়ে অপরাধীরা তাকে গণধর্ষণ করে। পিটিশনে বলা হয়েছে যে দোষীদের অকাল মুক্তি সমাজের নাড়া দিয়েছে এবং সারা দেশে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একাধিক সংগঠনের তরফে আন্দোলন প্রদর্শন করা হয়।
অন্যদিকে গুজরাট সরকার শীর্ষ আদালতকে বলেছে যে এই মামলায় আসামীরা ১৪ বছর বা তার বেশি সময় জেলে কাটিয়েছে এবং জেলে তাদের আচরণ ভাল বলে প্রমাণিত হওয়ায় ১১ আসামিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যসরকার এবং কেন্দ্রও তাতে সম্মতি দিয়েছে। বানো সুপ্রিম কোর্টের ১৩ই মে ২০২২-এর রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন