"হাঁস জলে সাঁতার কেটে জলের অক্সিজেন স্তর বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে জলের মাছেরা বেশি অক্সিজেন পায়। তাছাড়া, হাঁসের বিষ্ঠাও মাছেদের উপকারে আসে। অতএব মাছ চাষের জন্যেও হাঁস পালন জরুরি," জানালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সোমবার রুদ্রসাগরের নৌকো প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন, প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অস্থি ভাসানো হবে ত্রিপুরার নদীতে: বিপ্লব দেব
এর আগে বলেছিলেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসা উচিত শুধুমাত্র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের। বলেছিলেন, চাকরি খোঁজার চেয়ে গরুর দুধ দোয়ানো বেশি লাভের। বা মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বাতলালেন নতুন উপায়। "প্রতিটি পরিবার বাড়িতে অন্তত চার পাঁচটা হাঁস মুরগি পুষুন। শিশুদের প্রোটিনের জন্য এর চাইতে উপকারী কিছু হয় না।" আর হাঁস-মুরগি চরানোর জায়গা নেই যাঁদের? এমন গ্রামবাসীদের বললেন, "ছেড়ে দিন রুদ্রসাগরে। একসঙ্গে এত হাঁস ভেসে বেড়ালে দেখতেও দারুণ লাগবে"।
নীরমহল উৎসবের উদ্বোধনে বিপ্লববাবু বলেন, "হাঁস-মুরগি প্রতিপালন এক সময় গ্রামীন সংস্কৃতির অঙ্গ ছিল। ২৫ বছরে বাম শাসনের আমলে সেই সংস্কৃতিটাই মুছে গেছে।" বিষয়টিকে যে রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে, তা বোঝাতে তিনি এও জানান, রুদ্রসাগর এলাকায় বসবাসকারী জেলেদের মধ্যে ৫০,০০০ হাঁসের ছানা বণ্টনের কথা ভাবছে সরকার। সৌন্দর্যও বাড়বে, অর্থনৈতিক বিকাশও আসবে।
ত্রিপুরা যুক্তিবাদ বিকাশ মঞ্চের পক্ষ থেকে মিহির লাল রায় অবশ্য বলেছেন, "উনি যা বলেছেন তা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে প্রমাণিত নয়। জলে নড়াচড়া হলে হাওয়া চলাচল বাড়ে ঠিকই, কিন্তু এতে হাঁসের কী ভূমিকা তা বুঝলাম না।"
ত্রিপুরার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধরের প্রতিক্রিয়া, "ওই ক'টা হাঁস মিলে বিশাল রুদ্রসাগরের জলের অক্সিজেন মাত্রা কতটা বাড়াতে পারবে, সে নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই।"