নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে দলের এক নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল মধ্যপ্রদেশ বিজেপি। জানা গিয়েছে, বিজয় ত্রিপাঠী নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আর তারপরেই তাঁর সদস্যপদ খারিজ করে দল থেকে বহিষ্কৃত কড়া হয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে দায়ের করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাঁদের বিজেপিতে জায়গা নেই।‘ মধ্যপ্রদেশের জইতপুরের ১৯ বছরের এক তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিজয়-সহ চার জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত বিজেপির ব্লকস্তরের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। ওই তরুণীকে বিজয়-সহ ৩ জন গত বৃহস্পতিবার রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। একটি লাল রঙের গাড়িতে তুলে অপহৃতাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ফার্ম হাউসে। সেখানে তাঁকে মাদক মেশানো পানীয় জোর করে খাইয়ে চলে শারীরিক নির্যাতন, গণধর্ষণ। পরে রবিবার তাঁকে তাঁর বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্ত চার জন।
জানা গিয়েছে, বিজয়ের পাশাপাশি বাকি ৩ জনের নাম রাজেশ শুক্ল, মুন্না সিং এবং মোনু মহারাজ। প্রত্যেকেরই বয়স ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে। মধ্যপ্রদেশের এই মামলায় পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। গণধর্ষণের অভিযুক্তদের তালিকায় যে বিজেপি নেতার নাম রয়েছে, সেই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় ক্ষোভ জমতে থাকে স্থানীয়দের মধ্যে। তাই খানিকটা বাধ্য হয়ে ব্যবস্থা নেয় বিজেপি। এমনটাই বিরোধীদের অভিযোগ। রবিবারই বিজয়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের ধর্ষণের ঘটনায় প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার ধর্ষণ, খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকেও দল থেকে বহিষ্কার করেছিল বিজেপি।