গত আট বছরে এমনটা বারবার হয়েছে। আদর্শগত এবং সংসদীয় ক্ষেত্রে তালমিল রেখে চলতে চেয়েছে বিজেপি। কিন্তু, বারবার দেখেছে পাশে কেউ নেই। যার জেরে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার পথ ছাড়তে হয়েছে দলকে। ফিরিয়ে নিতে হয়েছে সিদ্ধান্ত। তার মধ্যে জমি অধিগ্রহণের অর্ডিন্যান্স ২০১৫ সালে প্রত্যাহার করতে হয়েছে। গতবছর, ২০২১ সালে ফিরিয়ে নিতে হয়েছে তিন বিতর্কিত কৃষি আইন। সামনে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা। তার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর, ২৪-এ লোকসভা। প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, সামনেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।
আর, সেই জন্য ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। রাষ্ট্রপতি বিজেপির কাছের কেউ না-হলে সরকার চালাতে অসুবিধা হবে। একথা মাথায় রাখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু, তাই বলে দলের কাউকে প্রার্থী করারও সাহস নেই বিজেপি নেতৃত্বের। আর, সেই জন্যই এখন সর্বসম্মত প্রার্থী খুঁজছে গেরুয়া শিবির। অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীর ব্যাপারে।
দল ইতিমধ্যেই সভাপতি জেপি নাড্ডা, আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা রাজনাথ সিংকে দায়িত্ব দিয়েছে অন্য দলগুলোর সঙ্গে কথা চালানোর। হেরে গেলে তাতে দলের সম্মান যাবে। তাই, বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। প্রার্থী যেন হয় সর্বসম্মত। এটাই এখন বিজেপি নেতাদের প্রধান লক্ষ্য। ইতিমধ্যে, সংযুক্ত জনতা দল বা জেডিইউ তাদের প্রার্থী হিসেবে নীতীশ কুমারের নাম ভাসিয়ে দিয়েছে। অন্য দলেরও বেশ কিছু নাম ভেসে উঠেছে দিল্লির রাজনীতির বাতাসে।
আরও পড়ুন- নির্বিচারে ‘বুলডোজার-রাজ’ যোগী প্রশাসনের, পাল্টা তোপ দাগলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি
নাড্ডার সঙ্গে রাজনাথকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশেষ লক্ষ্য নিয়েই। আধুনিকমনস্ক আর মৃদুভাষী নেতা। সেই কারণে নাড্ডার প্রতি অন্য দলগুলোর তেমন একটা ক্ষোভ নেই। আর, রাজনাথের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক বেশ ভালো। সেটা দীর্ঘদিন থেকেই। দলের শীর্ষ নেতাদের তাই ধারণা, দুই নেতাই তাঁদের লক্ষ্যে সফল হবেন। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। হাতে একমাসের বেশি সময় আছে। ধীরে-সুস্থে সঠিক প্রার্থী ঠিক করাই গেরুয়া শিবিরের কাছে এখন তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
Read full story in English