Parliament Winter Session: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই কৃষি বিল প্রত্যাহার করতে কোমর বেঁধে নামল মোদি সরকার। ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের দুই কক্ষের শীতকালীন অধিবেশন। সেদিন রাজ্যসভার সব বিজেপি সাংসদকে উপস্থিত থাকতে হুইপ জারি করল বিজেপি। তিন লাইনের সেই হুইপে প্রথম দিন পুরো অধিবেশনে সব দলীয় সাংসদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানান বিজেপির রাজসভার সাংসদ শিবপ্রতাপ শুক্ল।
তবে লোকসভার বিজেপি সাংসদরা এমন কোনও নির্দেশ পায়নি। এমনটাই সুত্রের খবর। তবে অধিবেশন শুরুর আগের দিন অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর সংসদের নিম্নকক্ষের বিজেপি সাংসদরা হুইপ পেতে পারেন। এমন সম্ভাবনা উসকে দিয়েছে গেরুয়া দলের এক সুত্র। মোদি সরকার সূত্রে খবর, শীতকালীন অধিবেশন সুরুর প্রথম সপ্তাহেই গুরত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চাইছে কেন্দ্র। তাই হুইপ জারির পথে হাঁটল গেরুয়া শিবির।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট কৃষি বিল প্রত্যাহারে অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু সংসদে কেন্দ্রের উপর তড়িঘড়ি সেই বিল প্রত্যাহারে চাপ জারি রাখবে কংগ্রেস। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনেই যাতে কৃষি প্রত্যাহার হয়। সেই কৌশলে চাপ সৃষ্টি করবে কংগ্রেস। এদিন সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি কোভিডে মৃতদের পরিবারপিছু ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেই অর্থ অবিলম্বে বরাদ্দ করতেও মোদি সরকারকে চাপ দেওয়া হবে। এমনটাই কংগ্রেস বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অপরদিকে, এবার সংসদে কৃষি বিল প্রত্যাহারের প্রাথমিক কাজ সারলেন মোদি মন্ত্রিসভা। বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠকে কৃষি বিল প্রত্যাহারে অনুমোদন দেওয়া হল। এদিন সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। জানা গিয়েছে, ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে লোকসভায় পেশ হবে এই বিল। তারপর ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হবে বিলের খসড়া। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর লোককল্যাণ মার্গ বাসভবনে বৈঠকে বসে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন এই বৈঠকে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৯ নভেম্বর শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনের শুরুতেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার। সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, পুরনো কোনও আইন প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে নতুন করে আইন আনার প্রক্রিয়াই অনুসরণ করতে হয়। সংসদের দুই কক্ষেই আইন প্রণয়নের জন্য বিল পাশ করতে হয়। এক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। সোজা কথায়, নতুন আইন তৈরি করে পুরনো আইন প্রত্যাহার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। কিন্তু এক বছর ধরে আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হবে ততক্ষণ বিক্ষোভস্থল থেকে নড়বেন না তাঁরা।
সেই অনুযায়ী, আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন প্রত্যাহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তারপর এই আইন প্রত্যাহারের জন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে বিল আনবে সরকার। সংসদের দুই কক্ষে তা পাশ করিয়ে রাষ্ট্রপতির চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এবার এই বিল পাশ করতে কত সময় লাগবে তা সরকারের অগ্রাধিকারের উপর নির্ভর করছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন