এর আগে সমালোচিত হয়েছেন দেশের সংবিধান সংশোধন করার কথা বলে। এবার ফের সম্ভাব্য বিতর্কের সৃষ্টি করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে। রবিবার কর্ণাটকের কোড়াগুতে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে হেগড়ে বলেন, কোনো হিন্দু মেয়ের গায়ে কোনো হাতের ছোঁয়া লাগলে সেই হাত কেটে ফেলা উচিত।
“আমাদের চিন্তাভাবনায় একটা মৌলিক পরিবর্তন আসা দরকার। আমাদের চারপাশে যা ঘটছে, তা আমাদের খুঁটিয়ে দেখা উচিত। জাত-ধর্ম যাই হোক, কোনো হিন্দু মেয়ের গায়ে হাত পড়লে সেই হাতের আর অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়,” বলেন হেগড়ে।
#WATCH: Union Minister Ananth Kumar Hegde in Kodagu, “We have to rethink about priorities of our society. We shouldn’t think of caste. If a Hindu girl is touched by a hand, then that hand should not exist.” #Karnataka pic.twitter.com/4uVNnIrNeu
— ANI (@ANI) January 27, 2019
মন্ত্রীমশাইয়ের অবশ্য বিতর্কের ইতিহাস রয়েছে। ২০১৭ সালে তিনি বলেছিলেন, তাঁর দল, অর্থাৎ বিজেপি, “শিগগিরই সংবিধান পাল্টে দেবে”, বিশেষ করে “ধর্মনিরপেক্ষ” শব্দটা।
তাঁর তখনকার বক্তব্য ছিল, “অনেকে বলেন সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ, এবং আমাদের তা মেনে নেওয়া উচিত। আমরা সংবিধানকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেব, কিন্তু সংবিধান এর আগেও একাধিকবার পাল্টেছে, ভবিষ্যতেও পাল্টাবে। আমরা এসেছি সংবিধান পাল্টাতে, এবং পাল্টাবোও।”
হেগড়ে সেসময় আরো বলেছিলেন, দেশবাসীর “গর্বের সঙ্গে বলা উচিত যে তাঁরা মুসলিম, খ্রীষ্টান, লিঙ্গায়ত, ব্রাহ্মণ, বা হিন্দু”। তাঁর কথায়, “যাঁরা নিজেদের বংশ পরিচয় না জেনেই নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করেন, তাঁদের নিজেদের কোনো পরিচয় নেই…তাঁরা নিজেদের জন্মবৃত্তান্ত জানেন না, অথচ তাঁরা বুদ্ধিজীবী।”