"আমার বা অভির বা অভির পরিবারের কারোর যদি কিছু ঘটে যায়, তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে আমার বাবা, ভিকি ভারতাউল এবং রাজীব রায়না। বিশেষ করে রাজীব রায়না, যে গোটা দল নিয়ে এসেছে এবং আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আমি মরব, কিন্তু ওর গোটা পরিবারকে শেষ করে দিয়ে যাব।"
এ কোনও সিনেমা নয়, একটি ভিডিও বার্তা। বুধবার থেকে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে দুটি ভিডিও, যাতে এই হাড় কাঁপানো বার্তা দিয়েছেন সাক্ষী মিশ্র। তিনি উত্তর প্রদেশের বিধায়ক রাজেশ মিশ্র ওরফে পাপ্পু ভারতাউলের মেয়ে। সাক্ষীর বয়স ২৩ বছর।
এই ভিডিওয় ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে সাক্ষী এবং তাঁর স্বামী, দলিত পরিবারের সন্তান ২৯ বছরের অজিতেশ অভিযোগ করেছেন যে তাঁর বাবা, ভাই এবং তাঁদের সহযোগীরা তাঁদের খুনের হুমকি দিয়েছেন অসবর্ণ বিবাহের কারণে।
বৃহস্পতিবার সাক্ষী এবং অজিতেশ নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। গ্র্যাজুয়েট সাক্ষী একটি সাংবাদিকতার কোর্সের জন্য আবেদন করতে চলেছেন, এবং অজিতেশ একটি হার্ডওয়ারের দোকান চালান।
এই ভিডিও ঘিরে এখন সাড়া পড়ে গিয়েছে চতুর্দিকে। বৃহস্পতিবার বিধায়ক অবশ্য তাঁর বা তাঁর লোকজনেদের বিরুদ্ধে ওঠা মেয়ে-জামাইকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর মেয়ে একজন সাবালিকা এবং তাঁর অধিকার রয়েছে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
তিনি বলেন, "আমি নিজের কাজে ব্যস্ত থাকি। বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। আমরা সে অভিযানে অংশ নিচ্ছি এবং গরিব মেয়েদের বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিষ ও যেখানেই থাকুক, খুশি থাকুক। ও এখন সাবালিকা এবং ওর নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।"
তবে সাক্ষী এবং অজিতেশে ভিডিও থেকে যে নির্যাস পাওয়া যাচ্ছে, তা অবশ্য ভিন্ন কথা বলছে। এর মধ্যে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাক্ষী তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের উদ্দেশে বলছেন, "প্লিজ রাজি হয়ে যাও, শান্তিতে বাঁচো, আমাকেও বাঁচতে দাও কারণ আমার সত্যিই বিয়ে হয়ে গেছে... আর বাবা, তুমি যে রাজীব রায়নার মত কুকুরগুলোকে আমার পিছনে তাড়া করার জন্য পাঠিয়েছ, ওকে বলে দিও যদি জল মাথার উপর চলে যায় তাহলে ওর পরিবারের সবাই জেলে যাবে... আমাদের জীবন বিপন্ন। আমি তোমাদের একটা কথা বলতে চাই ভিকি এবং বাবা - অভি (অজিতেশ)কে আর ওর আত্মীয়দের হ্যারাস করা বন্ধ কর কারণ ওরা কেউ কোনও ভুল করেনি। যা হয়েছে তা আমি আর অভি করেছি। এবার শান্তিতে থাকো, নিজের রাজনীতি করো। আমি স্বাধীনভাবে শান্তিতে বাঁচতে চাই।"
Read the Full Story in English