গ্রামে যেন ঢুকতে না পারেন জামাতির সদস্যরা। প্রশাসনকে এমনটাই কার্যত নির্দেশ দিলেন বিজেপি বিধায়ক। উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার খাটাউলির বিধায়ক জেলাশাসকের কাছে অনুরোধ করলেন, জামাতিরা যেন কোনোভাবেই গ্রামে ঢুকতে না পারেন। স্থানীয় কাওয়াল গ্রামের একটি মসজিদে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন জামাতি সদস্যরা।
কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই আসরে বিধায়ক বিক্রম সাইনি। তিনি জানালেন, "আমি মানুষের বিশেষ করে আমার বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের পূর্ন নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর।"
বিক্রম সাইনি ফোনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "২৭ এপ্রিল প্রশাসনের তরফে ১১জন জামাতিকে কাওয়াল গ্রামের একটি মসজিদে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এঁদের মধ্যে দুজন করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়েন। বাকিদের আরো দুসপ্তাহ কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে ৭-মের পর। সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ আমার কাছে এসে আবেদন করেছেন যেন আমি প্রশাসনের কাছে বিষয়টি তুলে ধরি। এবং ওঁদের বাইরে রাখা হয়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
করোনা আবহে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় জমায়েত ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশে। তবলিঘি জামাতে যোগ দেওয়া অনেকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং তাঁদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন, এমন দাবি আগেই উঠেছিল।
নিজামুদ্দিনে জামাত মরকজে অভিযান চালিয়ে জানা যায় যে ২ হাজারেরও বেশি তবলিঘি বিদেশি পর্যটন ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। ভিসা নীতি লঙ্ঘনের দায়ে ১৭০০ জনেরও বেশি সদস্যকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জামাত নেতা মৌলানা সাদ কান্ধলভির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ।
করোনার আবহে এতদিন কেটে যাওয়ার পরও সেই বিতর্কে ইতি নেই। এবার তাঁদের গ্রামের বাইরে রাখার কথা বলে শিরোনামে উঠে এলেন বিজেপি বিধায়ক।