Advertisment

মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় নিয়মিত হাজিরা থেকে রেহাই প্রজ্ঞা ঠাকুরের

২০০৮ সালে মালেগাঁওতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত শুরুর পর ২০১৯ সালে আদালত নির্দেশ দেয় অভিযুক্তদের সকলকে সপ্তাহে একবার আদালতে হাজিরা দিতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নিয়মিত আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে রেহাই পেলেন মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর। মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে এনআইএ -র বিশেষ আদালত। তবে রায়ে বলা হয়েছে মামলার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে আদালতের নির্দেশ পেলেই হাজিরা দিতে হবে সাংসদকে। একইসঙ্গে এর আগে বারবার হাজিরা না দেওয়ায় অসন্তোষও প্রকাশ করেন বিচারপতি।

Advertisment

২০০৮ সালে মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নাম জড়ায় প্রজ্ঞা ঠাকুর সহ সাতজনের। এনআইএ তদন্ত শুরুর পর ২০১৯ সালে আদালত নির্দেশ দেয় অভিযুক্তদের সকলকে সপ্তাহে একবার আদালতে হাজিরা দিতে হবে। সেই বছর জুন মাসে হাজিরা দেওয়ার পর অসুস্থতা ও নানা কারণ দেখিয়ে বারংবার হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর আদালত প্রজ্ঞা ঠাকুরকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার শেষ সুযোগ দেয়। এরপরই অবশেষে সোমবার তিনি হাজিরা দেন।

মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদের আইনজীবী জে পি মিশ্র একটি লিখিত আবেদন করে আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি চান। আবেদনপত্রে উল্লেখ, 'প্রজ্ঞা ঠাকুরের নানারকম শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। বর্তমানে এইমস-এ চিকিৎসা চলছে। মুম্বইতে শারীরিক পরীক্ষা হয় তাঁর। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁর দেখভাল করেন'

একইসঙ্গে তিনি আবেদনপত্রে জানানো হয়, 'জীবনের ঝুঁকি থাকার কারণে মধ্যপ্রদেশ প্রজ্ঞা ঠাকুরকে পুলিশ ছয়জন সশ্রস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তা দিয়েছে। এছাড়াও দুজন নিরাপত্তারক্ষী তাঁর সঙ্গে সর্বক্ষণ থাকেন। যা নিয়ে সব জায়গায় যাতায়াত কার্যত অসম্ভব।'

প্রজ্ঞা ঠাকুরের এই আবেদনের ভিত্তিতেই বিশেষ বিচারপতি অবিনাশ রাসাল তাঁকে নিয়মিত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। তবে বেশ কয়েকটি শর্তও আরোপ করা হয়।

২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মালেগাঁওয়ের একটি মসজিদের কাছে একটি বিস্ফোরক বাঁধা মোটরবাইকে বিস্ফোরণ ঘটায় ছয়জনের মৃত্যু হয়, আহত হন শতাধিক ব্যক্তি। প্রজ্ঞা ঠাকুর ছাড়াও কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, সমীর কুলকার্নি, রমেশ উপাধ্যায়, সুধাকর চতুর্বেদী, অজয় রাহিরকর ও সুধাকর দ্বিবেদীর নাম জড়ায়। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ১৬ (সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত) ও ১৮ (সন্ত্রাসবাদী হামলার চক্রান্ত) নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এছাড়াও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, খুন, খুনের চেষ্টা, স্বতপ্রণোদিতভাবে আঘাত ও দুটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বাড়ানোর চেষ্টা অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp Malegaon Blast
Advertisment