/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/11/Untitled-design-2021-11-24T213629.416.jpg)
দলবদলের জল্পনা উস্কে বুধবার দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
Mamata at Delhi: মমতা যা বলেন, তাই করেন! বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মনিয়ম স্বামীর ট্যুইটে এমনটাই উল্লেখ। সুব্রহ্মনিয়ম স্বামী, যার বিতর্কিত ট্যুইট বারবার বিপাকে ফেলেছে মোদি সরকারকে। বেকায়দায় পড়তে হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। এবার সেই স্বামী মোদি-শাহদের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, এবার রাজীব গান্ধি, জয়প্রকাশ নারায়ণ, চন্দ্রশেখর, মোরারজি দেশাইয়ের সঙ্গে মমতাকেও একাসনে বসালেন স্বামী। তাঁর সেই ট্যুইট ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
Of the all the politicians I have met or worked with, Mamata Banerjee ranks with JP, Morarji Desai, Rajiv Gandhi, Chandrashekhar, and P V Narasimha Rao who meant what they said and said what they meant. In Indian politics that is a rare quality
— Subramanian Swamy (@Swamy39) November 24, 2021
তিনি লেখেন, ‘আমি এযাবৎকাল যাদের সঙ্গে কাজ করেছি বা সামনে থেকে দেখেছি, তাঁদের মধ্যে জেপি, মোরারজি দেশাই, রাজীব গান্ধি, চন্দ্রশেখর এবং পিভি নরসিমা রাওয়ের মতো বলিষ্ঠ চরিত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এঁরা যা বলেন তাই করেন, যা করেন তাই বলেন। রাজনীতিতে এটা একটা বিরল গুণ।‘
এদিকে, দলবদলের জল্পনা উস্কে বুধবার দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আগে স্বামীর মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন সাড়ে তিনটে নাগাদ দিল্লিতে মমতার ১৮৩ নম্বর সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে আসেন স্বামী। প্রায় মিনিট ৪৫ মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন স্বামী।
এদিন গাড়ি থেকে নেমে সংবাদমাধ্যমকে স্বামী বলেন, আমি মমতার পাশেই আছি। আলাদা করে দলবদল করার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যে জল্পনা গাঢ় হয়েছে। তাহলে কি মোদী-শাহ নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ বাড়ছে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী বার বার মোদী সরকারের সমালোচনা করে শিরোনামে এসেছেন। সম্প্রতি জাতীয় কার্যকারিণী সমিতি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে রোমে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের সমালোচনা করেন স্বামী। আগেও অনেকবার তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছেন স্বামী।
একুশের নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রামে প্রচারের প্রথম দিন পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা। সেই সময় টুইট করে মমতার সুস্থতা কামনা করেন স্বামী। সেই চোটের ঘটনা নিয়ে পরবর্তীকালে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালা চলে দীর্ঘদিন।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন