Parliament Session: রাজ্যসভায় চিন নিয়ে প্রশ্ন করতে অনুমতি পেলেন না খোদ বিজেপি সাংসদ। বুধবার এমন হাস্যকর প্রসঙ্গ ট্যুইট করলেন সুব্রহ্মনিয়ম স্বামী। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘দুঃখের চেয়েও বেশি হাস্যকর ব্যাপার। রাজ্যসভার সচিবালয় আমাকে জানিয়েছে জাতীয় স্বার্থে আমার করা প্রশ্ন রাজ্যসভায় গৃহীত নয়। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, চিন কি আদৌ ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে?’ সম্প্রতি দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এই বিজেপি সাংসদ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই আছেন। তৃণমূলে যোগের জল্পনার মধ্যে জানিয়েছিলেন স্বামী। বহুদিন ধরেই গেরুয়া শিবিরে মোদির বিরোধী শিবিরের নেতা হিসেবে পরিচিত স্বামী।
কেন্দ্রের একাধিক নীতি এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে বারবার মুখ খুলেছেন তিনি। এবার তাঁকেই রাজ্যসভায় চিন নিয়ে করা প্রশ্নের জন্য না শুনতে হল। যেটাকে হাস্যকর খোঁচায় বিঁধেছেন এই বিজেপি সাংসদ।
এদিকে, গত বাদল অধিবেশনে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবারও হট্টগোল হল সংসদে। হট্টগোলের জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভার অধিবেশন। এদিন সকাল থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে সংসদে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় শামিল হন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদরাও।
বুধবারের ধর্নায় ছিলেন দোলা সেন, সৌগত রায়, মহুয়া মৈত্ররা। এদিন ধর্নামঞ্চ থেকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, অবিলম্বে ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন তুলতে হবে। আমরা এরপর বৈঠকে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব। প্রসঙ্গত, গত বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলার জেরে ১২ জন সাংসদকে এই শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, অনিল দেশাই, তৃণমূলের দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, কংগ্রেসের ফুলোদেবী নোতাম, ছায়া ভার্মা, রাজামণি প্যাটেলের মতো সাংসদরা। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন জানান, আজ থেকে আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকালে ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে ডিএমকে, শিবসেনা, এনসিপি, সিপিএম, সিপিআই, আরজেডি, ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ, ন্যাশনাল কনফারেন্স, আরএসপি, টিআরএস, কেরালা কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির নেতারা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর দফতরে গিয়ে দেখা করেন। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাহুল গান্ধিও। নায়ডুর কাছে ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানান। কিন্তু নায়ডু সাসপেনশন তুলতে নারাজ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন