ফের বিরোধী নেতা-নেত্রীদের ফোন হ্যাকের অভিযোগ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এবার চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করেছেন সাম্প্রতিককালে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নিজের ফোনের দুটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এক্সবার্তায় তিনি লিখেছেন, 'অ্যাপেল থেকে আমার কাছে একটি নোটিফিকেশন এসেছে। সেখানেই সাফ বলা হয়, রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সংস্থাগুলো আমার আইফোন হ্যাক করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কি কোনও কাজ নেই? কেন্দ্রের এই ভয় দেখে আমার দয়া হচ্ছে।' এরপরই এ নিয়ে মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী। বলেন, 'আদানির চাপে পড়েই বিরোধী সাংসদদের ফোন ও ইমেল হ্যাক করা হচ্ছে।' বিরোধীদের অভিযোগের পরপরই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন ও মিথ্যা' বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিরোধী নেতাদের অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, রবিশঙ্কর প্রসাদ পাল্টা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, 'পুরোটাই অ্যাপল সংস্থাই পক্ষেই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব। বিরোধী নেতাদের কোনও সমস্যা হলে এফআইআর করা উচিত। ওদের তো কেউ আটকায়নি?'
আরও পড়ুন- মহুয়ার আইফোন হ্যাকের চেষ্টা কেন্দ্রের? অ্যাপল ‘সতর্কবার্তা’ পোস্ট করে তোলপাড় ফেললেন সাংসদ
পেগাসাস সফটওয়ার দিয়ে দেশের বিজেপি বিরোধী বহু বিশিষ্টজন, বিরোধী নেতা-নেত্রী, সাংবাদিক, সমাজকর্মীদের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তবে আদালতে সেই অভিযোগ তেমন গুরুত্ব পায়নি। সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি, 'পেগাসাস বিতর্কে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা নিযুক্ত কমিটির সামনে তার আইফোন জমা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। আজকের অভিযোগ নিয়ে হইচই করার আগে ওই বিষয়টি ভেবে দেখবেন একবার।'
রবিশঙ্করের মতে, কোনও টেলিফোন সংস্থাই ট্যাপের কথা কোনও গ্রহককে জানায় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রথমে জরুরি প্রতিক্রিয়া দল CERT-In-এর কাছে যাওয়া উছিত।
মঙ্গলবার বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা-নেত্রী দাবি করেছেন যে, তাঁরা অ্যাপল সংস্থার তরফে সতর্ক করা হয়েছে, বলা হয়েছে তাঁদের আইফোনগুলি রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সংস্থাগুলো তাঁদের আইফোন হ্যাক করার চেষ্টা করছে। অভিযোগকারীদের তালিকায় রয়েছেন, শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, আম আদমি পার্টির রাঘব চাড্ডা, কংগ্রেসের শশী থারুর এবং ওই দলেরই মিডিয়া এবং প্রচার বিভাগের প্রধান পবন খেরা।