হরিয়ানা থেকে পাঞ্জাবে প্রবেশ করল ভারত জোড়ো যাত্রা, স্বর্ণমন্দিরের পর এবার গুরুদ্বারা ফতেহগড় সাহিবে রাহুল গান্ধি। চলছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা। বুধবার সকালে পাঞ্জাবে 'ভারত জোড়ো যাত্রা' শুরু করার আগে গুরুদ্বার ফতেহগড় সাহিবে গিয়ে প্রার্থনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
আজ কংগ্রেস সাংসদ পাঞ্জাবের ফতেহগড়ের গুরুদ্বারা ফতেহগড় সাহিব পরিদর্শন করেছেন। এই সময় রাহুল গান্ধীকে পাগড়ি পরা এবং হাফ হাতা টি-শার্ট পরা অবস্থায় দেখা গেছে। রাহুলের সঙ্গেই এদিন উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান অমরিন্দর সিং সহ দলের অন্যান্য নেতারা। হরিয়ানার পর এবার পাঞ্জাবে প্রবেশ করেছে কংগ্রেসের দীর্ঘ এই পদযাত্রা।
এই রাজ্যেই ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে কংগ্রেস। গতকাল গেরুয়া পাগড়ি পরে রাহুল গান্ধীকে দেখা গিয়েছিল অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে। যাত্রা জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশের আগে ১৯ জানুয়ারি পাঠানকোটে একটি দলীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া যাত্রাটি ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে পৌঁছাবে। ওই দিনই ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হবে বলেই কংগ্রেসের তরফে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: < আতঙ্কের জোশীমঠ! ফাটলের কবলে সাত’শো বাড়ি, বিপজ্জনক ৮৬, বিক্ষোভ…>
এই যাত্রা এখন পর্যন্ত তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা অতিক্রম করেছে। যাত্রার শুরুতে ভাষণে রাহুল গান্ধী বলেন, দেশে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। আরএসএস-বিজেপির লোকেরা এক ধর্মের সঙ্গে অন্য ধর্মের, এক ভাষার সঙ্গে অন্য ভাষার লড়াইয়ে লিপ্ত। তারাই দেশের পরিবেশকে নষ্ট করেছে। অন্যদিকে, নিরাপত্তা ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর এই পদযাত্রা ঘিরে সতর্ক পাঞ্জাব পুলিশ।