মঙ্গলবার ত্রিপুরার রুদ্রসাগরে নৌকো প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে বলেছিলেন, "জলে হাঁস ভাসিয়ে দিলে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে, আখেরে লাভ হবে মৎস্য চাষে।" ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের যে কোনও মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ট্র্যাডিশন মেনে মঙ্গলবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল নেট দুনিয়ায়। এবং একদিনের মাথায় বিপ্লব দেবের মন্তব্যকে সমর্থন করল বিজেপি এবং ত্রিপুরা সরকার। সমর্থন করলেন মৎস্য চাষের অধ্যাপকও।
ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র ডঃ অশোক সিনহা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, "উনি ১০০ শতাংশ সঠিক বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে। ভারতবর্ষে বহু যুগ আগে থেকেই মাছ চাষের উপকারিতায় হাঁসকে ব্যবহার করে আসা হচ্ছে। পশ্চিমের বিজ্ঞানীরাও এই যুক্তি সমর্থন করেন।"
আরও পড়ুন: জলের অক্সিজেন স্তর কমে যাচ্ছে? হাঁস ভাসিয়ে দিন; পরামর্শ বিপ্লব দেবের
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে "বৈজ্ঞানিক ভিত্তিহীন" বলে আখ্যা দিয়েছেন ত্রিপুরার রাজ্য বিজ্ঞান প্রযুক্তি পর্ষদের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য বিজ্ঞান আধিকারিক ডঃ মিহিরলাল রায়। এই প্রসঙ্গে ডঃ অশোক সিনহার প্রতিক্রিয়া, "মিহিরবাবু রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, তাই বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।" তিনি আরও বলেন, "দ্য ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (ফাও) তাদের গবেষণায় দেখিয়েছে কীভাবে জলে সাঁতার কাটার সময় হাঁস জলের অক্সিজেন মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই তথ্যকে সমর্থন করে, এরকম একাধিক গবেষণা রয়েছে।"
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন করেছে ত্রিপুরা সরকারও। রাজ্য মৎস্য চাষ দফতরের সচিব রামেস্বর দাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "সংহত মৎস্য চাষ প্রকল্প-তে মাছ এবং হাঁস একসাথে চাষ করা হয়। আমাদের রাজ্যে আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাইছি।"
ত্রিপুরা মৎস্য চাষ কলেজের সহ অধ্যাপক মৃণালকান্তি দত্ত জানিয়েছেন, "রাজ্য জুড়ে পঞ্চাশ হাজার হাঁস প্রতিপালনের যে পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন, তা যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। এতে মৎস্য চাষ এবং চাষিরা উপকৃতই হবেন। চিন এবং তাইওয়ানে এই পদ্ধতিতে চাষ হয়।"
'হাঁস ভাসালে জলের অক্সিজেন মাত্রা বাড়ে'; বিপ্লব দেবের মন্তব্যের সমর্থনে সরকার থেকে শিক্ষাবিদ
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের যে কোনও মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ট্র্যাডিশন মেনে মঙ্গলবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল নেট দুনিয়ায়।
Follow Us
মঙ্গলবার ত্রিপুরার রুদ্রসাগরে নৌকো প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে বলেছিলেন, "জলে হাঁস ভাসিয়ে দিলে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে, আখেরে লাভ হবে মৎস্য চাষে।" ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের যে কোনও মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ট্র্যাডিশন মেনে মঙ্গলবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল নেট দুনিয়ায়। এবং একদিনের মাথায় বিপ্লব দেবের মন্তব্যকে সমর্থন করল বিজেপি এবং ত্রিপুরা সরকার। সমর্থন করলেন মৎস্য চাষের অধ্যাপকও।
ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র ডঃ অশোক সিনহা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, "উনি ১০০ শতাংশ সঠিক বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে। ভারতবর্ষে বহু যুগ আগে থেকেই মাছ চাষের উপকারিতায় হাঁসকে ব্যবহার করে আসা হচ্ছে। পশ্চিমের বিজ্ঞানীরাও এই যুক্তি সমর্থন করেন।"
আরও পড়ুন: জলের অক্সিজেন স্তর কমে যাচ্ছে? হাঁস ভাসিয়ে দিন; পরামর্শ বিপ্লব দেবের
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে "বৈজ্ঞানিক ভিত্তিহীন" বলে আখ্যা দিয়েছেন ত্রিপুরার রাজ্য বিজ্ঞান প্রযুক্তি পর্ষদের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য বিজ্ঞান আধিকারিক ডঃ মিহিরলাল রায়। এই প্রসঙ্গে ডঃ অশোক সিনহার প্রতিক্রিয়া, "মিহিরবাবু রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, তাই বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।" তিনি আরও বলেন, "দ্য ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (ফাও) তাদের গবেষণায় দেখিয়েছে কীভাবে জলে সাঁতার কাটার সময় হাঁস জলের অক্সিজেন মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই তথ্যকে সমর্থন করে, এরকম একাধিক গবেষণা রয়েছে।"
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন করেছে ত্রিপুরা সরকারও। রাজ্য মৎস্য চাষ দফতরের সচিব রামেস্বর দাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "সংহত মৎস্য চাষ প্রকল্প-তে মাছ এবং হাঁস একসাথে চাষ করা হয়। আমাদের রাজ্যে আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাইছি।"
ত্রিপুরা মৎস্য চাষ কলেজের সহ অধ্যাপক মৃণালকান্তি দত্ত জানিয়েছেন, "রাজ্য জুড়ে পঞ্চাশ হাজার হাঁস প্রতিপালনের যে পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন, তা যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। এতে মৎস্য চাষ এবং চাষিরা উপকৃতই হবেন। চিন এবং তাইওয়ানে এই পদ্ধতিতে চাষ হয়।"