গত ১৮ মাস ধরে ভারতে অন্যসব রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিজেপিই সেই দল যারা ফেসবুক বিজ্ঞাপনে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। 'সামাজিক ইস্যু, নির্বাচন এবং রাজনীতি' এই বিষয়গুলিকে নিয়ে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফেসবুক বিজ্ঞাপনে মোদী-শাহের বিজেপি ব্যয় করেছে ৪.৬১ কোটি টাকা। সেখানে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যয়ের পরিমাণ ১.৮৪ কোটি টাকা। সোশাল মিডিয়া ট্র্যাকার থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
দেখা গিয়েছে ফেসবুকে শীর্ষ বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে চার জন বিজ্ঞাপনদাতা রয়েছেন যাঁরা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনই দিল্লিতে ক্ষমতাসীন দলের জাতীয় সদর দফতরের সঙ্গে একই ঠিকানা ভাগ করে নিয়েছেন। এদের মধ্যে দু'জন 'মাই ফার্স্ট ভোট ফর মোদী' (১.৩৯ কোটি) এবং 'ভারত কে মন কি বাত' (২.২৪ কোটি) এই পেজ দুটি চালান। সম্প্রতি নেশন উইথ নমো যে মিডিয়া ওয়েবসাইট (১.২৮ কোটি) এবং পেজ (০.৬৫ কোটি) থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তার পুরোধা বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ আর কে সিং।
এই বিজ্ঞাপনে ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে যদি এই সব পেজের ব্যয়ও যুক্ত করা হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে পদ্মশিবিরে বিজ্ঞাপনে মোট ব্যয় ১০.১৭ কোটি টাকা। ফেসবুকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনের মোট সংখ্যার যা ৬৪ শতাংশের এর বেশি। তবে এর মধ্যে ২০১৯ সালের এপ্রিল-মে মাসের নির্বাচনী প্রচারের সময় ফেসবুকে বিজ্ঞাপন ব্যয়ের বিষয়টিও রয়েছে।
তথ্য অনুসারে, ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারী থেকে ভারতের ফেসবুকে মোট বিজ্ঞাপন ব্যয় হয়েছে ৫৯.৬৫ কোটি টাকা। তবে শুধুমাত্র ফেসবুক প্ল্যাটফর্মেই যে কেবল বিজ্ঞাপন গিয়েছে তা নয়। ফেসবুকের অন্যান্য সংস্থা ফেসবুক মেসেঞ্জার্স, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশাল মিডিয়াতেও বিজ্ঞাপন গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৪ অগাস্ট ‘ভারতে বিজেপির প্রতি ফেসবুক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে’, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন সামনে আসার পর এ বিষয়ে অভিযোগ করে বিরোধীরা। চিঠিতে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, ‘এটা স্পষ্ট যে ভারতে ফেসবুক একটা রাজনৈতিক দলের (বিজেপি) হয়ে কাজ করছে এবং বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক কাজে সহযোগিতা করছে। ভারতের নির্বাচনী গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করার মতো গুরুতর অভিযোগ ফেসবুকের বিরুদ্ধে…”।
এদিকে, 'মাই ফার্স্ট ভোট ফর মোদী', 'ভারত কে মন কি বাত', 'নেশন উইথ নমো' এই তিনটি ফেসবুক পেজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সম্পর্কিত বিষয়বস্তু প্রচার করলেও তাঁরা কেউই তাঁদের বিজেপি যোগ সম্পর্কে সরাসরি কিছু উল্লেখ করেনি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন