Bengal BJP: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই রাজ্য বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন অপর এক নেত্রী। সৌমিত্র খাঁয়ের পর এবার বেসুরো বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনিও একটি ফেসবুক লাইভ করেন। সেই লাইভে বিস্ফোরক অমৃতা বলেন, ‘সব্যসাচী-রাজীবের মতো দালাল নেতাদের জন্য বাংলায় হেরেছে বিজেপি। কর্মী-সমর্থকদের আবেগকে গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে না। কার্যকর্তাদের পরামর্শ শোনা হচ্ছে না’। এভাবেই বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা দুই নেতার নাম করে সোচ্চার হয়েছেন এই বিজেপি নেত্রী।
Advertisment
এদিন তিনি শুরুতেই বলেছেন, ‘কিছু পাওয়ার আশায় আমরা যারা কার্যকর্তা, দল করি না। কিন্তু বর্তমান বিজেপিতে আমাদের স্বপ্নের গলা টেপা হয়েছিল। আমাদের বলতে বলা হয়েছিল মুকুলদা জিন্দাবাদ বলতে। আমরা বলতাম। তবে দলে থেকে মুকুলদা কোনও দলবিরোধী কাজ করেনি। কিন্তু পরে তৃণমূলে যাঁদের কোনও জায়গা ছিল না, যোগ্যতা ছিল না, তাঁদের এনে বিজেপির নেতা করে দেওয়া হল। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবে কে টিকিট পাবে? তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি জিতবে কী করে? কিন্তু দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বক্তব্য কেউ শোনেনি এবং বেদনা কেউ দেখেনি। ভোটের পর কিন্তু সেই কার্যকর্তারা মার খাচ্ছে।‘ তাঁর দাবি, ‘যখন থেকে বিজেপির কেউ ছিল না, তখন থেকে পার্টিটা করি। কিন্তু আমাদের আবেগ, সিদ্ধান্তকে পদদলিত করা হচ্ছে। আমাদের সমস্যা বলার কোনও জায়গা নেই।‘
দেখুন সেই লাইভ:
যদিও অন্য দল থেকে বিজেপিতে আসা নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বোঝাপড়ায় অসুবিধা হচ্ছে। এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন দলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে বুধবার যুব মোর্চার সভাপতি এবং বৃহস্পতিবার একই সংগঠনের সম্পাদকের এহেন বেসুরো মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে, বঙ্গ বিজেপির এই কোন্দলকে আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব বলে আরও বিতর্ক উসকে দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন