ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল মঙ্গলবারেই। বৃহস্পতিবার ভারতীয় বায়ুসেনার (আইএএফ) পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, খুঁজে পাওয়া এএন-৩২ বিমানের ১৩ জন যাত্রীর মধ্যে বেঁচে নেই কেউ। অরুণাচল প্রদেশে নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হল বিমানের সমস্ত তথ্য ভরা ব্ল্যাক বক্স।
বায়ুসেনার তরফে এক বিবৃতি মারফত জানানো হয়েছে দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহাংশ উদ্ধারের কাজ জারি রয়েছে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে মাঝে মধ্যেই। বৃহস্পতিবার ভারতীয় বায়ুসেনা উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য অতিরিক্ত তিন পর্বতারোহীকে নিয়োগ করেছে।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে উইং কম্যান্ডার জিএম চার্লস, স্কোয়াড্রন লিডার এইচ বিনোদ, ফ্লাইট লেফট্যান্যান্ট এস মহন্তী, লেফট্যান্যান্ট এ তানোয়ার, ফ্লাইট লেফট্যান্যান্ট আর থাপা, ওয়ারেন্ট অফিসার কেকে মিশ্র, সার্জন অনুপ কুমার, কর্পোরাল শেরিন, লিডিং এয়ারক্র্যাফটম্যান এসকে সিং এবং লিডিং এয়ারক্র্যাফটম্যান পঙ্কজের।
আরও পড়ুন, নৈশভোজে দেখা হল, কথা হল না মোদী-ইমরানের
প্রসঙ্গত, ৩ জুন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ আসামের জোড়হাট থেকে অরুণাচল প্রদেশের মেচুকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বায়ুসেনার এই বিমান। দুপুর একটার সময় শেষবার যোগাযোগ করা যায় বিমানটির সঙ্গে। এরপরই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাটির এক সপ্তাহ বাদে ১১ জুন খোঁজ মেলে বিমানবাহিনীর হারানো এএন ৩২ বিমানের। টুইটারে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে বিমানবাহিনী। বায়ুসেনার মুখপাত্র উইং কম্যান্ডার রত্নাঙ্কর সিং এর আগে জানান, “উত্তরপূর্বের টাটো এলাকায়, লিপো এলাকা থেকে ১৬ কিমি উত্তরে ১২ হাজার ফিট উচ্চতায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর এমআই ১৭ হেলিকপ্টারের সহায়তায় পাওয়া গেছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ।”
ভারতীয় বায়ুসেনার এই বিমানটির নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পরেই বিভিন্ন সংস্থা, যেমন সেনাবাহিনী, ভারতীয় নৌসেনা, ইসরো, স্টেট পুলিশ, জেলা আধিকারিক সকলের সহায়তায় বিমানটির খোঁজ পর্ব চালানো হয়। ভারতীয় নৌসেনার সি-১৩০ যুদ্ধবিমান, এসইউ-৩০এমকেআই, পিএইটআই লং রেঞ্জ পরিদর্শনকারী বিমান, আধুনিক হেলিকপ্টার, এমআই-১৭ এবং চিতা হেলিকপ্টার মোতায়েন করে এমনকি স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে সমগ্র প্রক্রিয়াটি চালানো হয়েছিল।
Read the full story in English