নেপালের পোখরায় বিমান দুর্ঘটনাকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৬৮। পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উদ্ধারে নেমেছে নেপালের সেনা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কাঠমান্ডু কী কারণে দুর্ঘটনা? কী ভাবে মাঝ আকাশেই বিমানে ধরে গেল আগুন? তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এই কমিটি। নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর অব্যাহতভাবে রয়েছে উদ্ধারকাজ। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'তল্লাশি অভিযানের সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। এই ব্ল্যাক বক্সের মাধ্যমে জানা যাবে বিমান দুর্ঘটনার পিছনে কী কারণ রয়েছে'।
ব্ল্যাক বক্স কি?
ব্ল্যাক বক্সে বিমান চলাচলের সর্বশেষ সব তথ্য রেকর্ড করে রাখে। অ্যাভিয়েশন বা বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা কিন্তু এটিকে ব্ল্যাক বক্স নামে ডাকেন না, তারা বলেন ফ্লাইট রেকর্ডার। অনেকটা কমলা রঙের দেখতে এই ব্ল্যাক বক্স। এ জন্য সহজেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়। অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি আসলে একটি ভয়েস রেকর্ডার। এর মধ্যে দুই ধরনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। একটি হলো ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার বা এফডিআর, যেটি বিমানের ওড়া, ওঠানামা, বিমানের মধ্যের তাপমাত্রা, পরিবেশ, চাপ বা তাপের পরিবর্তন, সময়, শব্দ ইত্যাদি নানা বিষয় নিজের সিস্টেমের মধ্যে রেকর্ড করে রাখে। ব্ল্যাক বক্সটি প্রায় দুর্ঘটনা স্থল থেকে ২০ হাজার ফুট দূর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ।
অবতরণের মাত্র ১০ সেকেণ্ড আগে নেপালে এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানে ৫ ভারতীয়সহ ৭২ জন আরোহী ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যত ৬৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনও বাকী ৪ জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখারা যাওয়ার সময় এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিমান দুর্ঘটনায় নেপালে আজ জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।