/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/09/logo.jpeg)
পাকিস্তানি হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রদান।
থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিকট শব্দে বিস্ফোরণে উড়ে গেল থানার একাংশ। যদিও এই বিস্ফোরণের জেরে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। উপনির্বাচনের ডিউটিতে অধিকাংশ পুলিশকর্মীই ছিলেন থানার বাইরে। সোমবার রাতে আচমকা পুরীর বালাঙ্গা থানায় এই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওড়িশার পুরী জেলার বালাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে থানা। এই বালাঙ্গা থানাতেই সোমবার রাতে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করার পর বালাঙ্গা থানার 'মালখানা'য় রাখা হয়েছিল। কোনওভাবে মজুত ওই বিস্ফোরক থেকেই আচমকা প্রবল শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে যায়। বিস্ফোরণের জেরে থানার একাংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পিপলির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবব্রত বড়াল জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় থানায় এক পুলিশকর্মী উপস্থিত থাকলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে, বিস্ফোরণের জেরে বালাঙ্গা থানার ছাদের একাংশ পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে থানার দেওয়াল। থানার একাধিক দেওয়ালে বিস্ফোরণের জেরে ফাটল তৈরি হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পিপলি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। ভোটের ডিউটিতেই বেরিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। সেই কারণে সোমবার রাতে থানা প্রায় ফাঁকা ছিল। পুলিশকর্মীরা বাইরে থাকায় বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।
থানার গুদামঘরে মজুত খাকা বিস্ফোরক দ্রব্য থেকেই কোনওভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে, প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই অনুমান পুলিশের। এদিকে, এই বিস্ফোরণের সময় বালাঙ্গা থানায় একমাত্র পুলিশকর্মী হিসেবে সরোজ বেহেরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, বিকট একটি শব্দ শুনে ভয়ে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন। পালিয়েছিলেন বলেই তিনি প্রাণে বেঁচে যান বলেও জানান।
আরও পড়ুন- ‘ভিআইপি সংস্কৃতি শেষ, রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করুন’, মন্ত্রীদের কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, 'ভবনের একটি অংশ উড়ে যাওয়ার আগেই আমি পালিয়ে গিয়েছিলাম।' থানায় এই বিস্ফোরণের জেরে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরীর পুলিশ সুপার কানওয়ার বিশাল সিং ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন