রবিবার সন্ধ্যার ফের সোমবার সকাল। ভয়াবহ জঙ্গি হামলা জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে। রাজৌরির ডাংরি গ্রামে পরপর তিনটি বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় সোমবার সকালে তিন শিশু এবং দুই মহিলা সহ পাঁচজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক শিশুর। ঘটনাটি গ্রেনেড হামলা নাকি 'ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস' তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। পুরো এলাকায় ঘিরে চলছে চিরুণী তল্লাশি।
রবিবার (১ জানুয়ারি) জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে তিন সংখ্যালঘুর সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। রাজৌরির আপার ডাংরি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৪ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। ৬ জন আহত হয়েছেন। এই হামলায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন এই হামলাকে 'টার্গেট কিলিং' বলে বর্ণনা করেছেন ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, “জেলা প্রশাসন ব্যর্থ । আমাদের দাবি এলজি মনোজ সিনহা এখানে এসে আমাদের দাবি শুনে যথাযথ ব্যবস্থা অবিলম্বে গ্রহণ করুন"। হামলার খবর পেয়ে তৎপর সেনাবাহিনী। পুরো এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদীরা প্রথমে দীপক কুমারের বাড়ি লক্ষ্য করে তাকে হত্যা করে। এর পর এই সন্ত্রাসীরা প্রীতম শর্মার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ও তাঁর ছেলে আশিসকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর তৃতীয় বাড়িতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এই বাড়িটি সতীশ কুমার নামে এক ব্যক্তির। ঘটনার খবর পেয়ে ডাংরি এলাকায় অভিযান জোরদার করে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং জম্মু পুলিশ এলাকার প্রতিটি কোণে তল্লাশি চালাচ্ছে। পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমেও ওই এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ঘটনার প্রতিবাদে একাধিক সংগঠন আজ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আজকের ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে বিজেপি। রাজৌরি হাসপাতালের বাইরে জড়ো হন অজস্র মানুষ। একদল লোক নিরীহ মানুষকে হত্যার জন্য পাকিস্তান ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। পাশাপাশি উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানানো হয়।