অমৃতসরের রাজাসানসি গ্রামের নিরানকরি ভবনে ধর্মীয় জমায়েতে বিস্ফোরণ। রবিবারের এই বিস্ফোরণে মৃত কমপক্ষে ৩, আহত বেশ কয়েকজন। প্রাথমিকভাবে গ্রেনেড হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। বিস্ফোরণ স্থল পুলিশি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক দল।
অমৃতসরের পুলিশ কমিশনার এস. শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, "এটাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে। আমরা তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। দু'জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি এই হামলাটি ঘটিয়েছে"।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, মুখ ঢাকা অবস্থায় দুই বাইক আরোহী জমায়েতের দিকে কিছু একটা ছোড়ে। এর থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে খবর। পুলিশের অনুমান, গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা এক প্রবীন পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, "গ্রেনেড হামলা হয়েছে এবং ৫-১০ জন আহত হয়েছেন"। উল্লেখ্য, "জইশ-ই-মহম্মদের ছয়-সাত জনের একটি দল সম্ভবত ফিরোজপুর এলাকায় রয়েছে" বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল পঞ্জাবে। গত সপ্তাহে এই রাজ্যের পাঠানকোট জেলায় মাধোপুরের কাছে বন্দুকের নলের সামনে এক ব্যক্তির থেকে এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভ্যান) গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের ডিজি-সহ কয়েকজন শীর্ষ কর্তাকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত প্রক্রিয়া দেখভাল করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। পঞ্জাবের সবকটি নিরানকরি ভবনেই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার কথা ঘোষণা করেছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, "অমৃতসর বোমা বিস্ফোরণের প্রেক্ষাপটে রাজ্যের সব মানুষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ করছি। কেউ যেন আতঙ্ক না ছড়ায়। আমাদের অতিকষ্টে অর্জন করা শান্তি সন্ত্রাসবাদীরা যেন ধ্বংস করতে না পারে"।
পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান সুনীল জখরকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, "মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। পঞ্জাবের শান্তি বিঘ্নিত করতেই এমন আক্রমণ করা হয়েছে। আমি আশা করি নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিভাগই সতর্ক থাকবে এবং শান্তি রক্ষার্থে এক সঙ্গে কাজ করবে"।
Read the full story in English