Advertisment

দ্বাদশে চূড়ান্ত সফল, IAS হয়ে দৃষ্টান্ত গড়তে চান দৃষ্টিহীন ইনশা

দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্ধদের জন্য একটি স্কুলের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pellet guns, pellet guns injuries, pellet guns in J&K, Shopian, Shopian attack, Shopian firing, kashmir pellets firing, jammu and kashmir, Indian Express, India news, current affairs

দৃষ্টিশক্তি হারানোর পরও আশা হারাননি ইনশা। সব বাধা অতিক্রম করে সফলতা অর্জন করেছেন তিনি। ইনশা তার সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন তার পরিবারকে। ইনশা দ্বাদশের সাফল্যের পর ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে ভর্তি হবেন। ইনশা বলেন, ‘পরিবার আমার লেখাপড়ায় অনড় ছিল। পাশাপাশি সকলের প্রতি এক বিরাট বার্তা দিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘আশা ও সাহস হারাবেন না, পড়াশোনা করুন এবং স্বাধীন হোন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে ন আপনাকে’।

Advertisment

ইনশা মুশতাক, সেই মেয়ে যে ২০১৬ সালে কাশ্মীরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার পর গুলির আঘাতের যার উভয় চোখ নষ্ট হয়। তিনি তার দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে পাস করেছেন। ২২ বছরের ইনশা ৫০০-এর মধ্যে ৩১৯ নম্বর পেয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানের সেডো এলাকার বাসিন্দা ইনশা। দৃষ্টিশক্তি হারানোর পর তার মনের জেদ আর ইচ্ছাশক্তিতে ভর করে দ্বাদশের  পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সফলতার সঙ্গে।

জম্মু ও কাশ্মীর সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (জেকেসিপিজে) কে তার পাশে থাকার কন্য তাকে সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ইনশা বলেন, জেকেসিপিজে ডিরেক্টর নাদির আলী আমাকে সহযোগিতা করেছেন এবং পরাশুনায় সাহায্য করেছেন। এখন তিনি স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) পরীক্ষার জন্য কোচিং ক্লাসেও ভর্তি হতে চান।  

একজন আইএএস অফিসার হতে চান ইনশা। সমাজের সকল অন্ধদের জন্য এক উদাহরণ হতে চান তিনি। পাশাপাশি তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্ধদের জন্য একটি স্কুলের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। কাশ্মীরে এই ধরণের সচেতনতার অভাবের কথা উল্লেখ করে ইনশা বলেন, ‘এই কারণে দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীরা পিছিয়ে পড়ছে’।

jammu and kashmir
Advertisment