অযোধ্যায় মসজিদের জন্য পাওয়া পাঁচ একরের বিকল্প জমিতে মসজিদের পাশাপাশি থাকবে হাসপাতাল, কমিউনিটি কিচেন এবং লাইব্রেরি। কেমন হতে চলেছে সেই মসজিদ এবং হাসপাতাল? শনিবার সেই মসজিদেরই প্রথম নকশা প্রকাশ করল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দ্বারা গঠিত ট্রাস্ট ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন। সেই নকশা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে।
নির্মীয়মাণ রাম মন্দির থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুর গ্রামে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মসজিদ গড়ে উঠবে। নকশা অনুসারে নতুন মসজিদের সঙ্গে পুরনো বাবরি মসজিদের স্থাপত্যের মিল নেই। যদিও সেকথা আগেই জানিয়েছিলেন নকশা তৈরির দায়িত্বে থাকা জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার স্থাপত্য বিদ্যা বিভাগের ডিন এসএম আখতার। যা মসজিদ এবং হাসপাতালের এদিন প্কাশিত ছবিতেই স্পষ্ট।
এদিন ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত নকশায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক মসজিদের মতোই এটি দেখতে হবে। অধিকাংশ অংশই কাঁচ দিয়ে ঘেরা। মসজিদের পাশেই হবে অত্যাধুনিক হাসপাতাল। ঐতিহ্য মেনে মসজিদের মাথায় বিশালাকার গম্বুজ থাকলেও, তা পুরোটাই প্রায় পাশ্চাত্য স্থাপত্যের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। মসজিদের মূল ভবনটিও আধুনিক স্থাপত্যেরই নিদর্শন। মসজিদ চত্বরে থাকছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও।
মসজিদ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা মুখ্য আর্কিটেক্ট এসএম আখতার বলেন, ‘‘হাসপাতালে ৩০০ বেডের ব্যবস্থা থাকবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আনা হবে। মসজিদে একসঙ্গে মানুষ নমাজ পড়তে পারবেন। গোটা মসজিদটি সৌরশক্তিচালিত হবে। মসজিদের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর ব্যবস্থা থাকবে।’’
সম্ভবত আগামী বছরই মসজিদ নির্মাণের প্রথম দফার কাজ শুরু হবে। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে ৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন। প্রথম দফায় মসজিদ এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় তৈরি হবে হাসপাতাল এবং অন্যান্য সমস্ত কিছু। তবে মসজিদটির নাম এখনও ঠিক করা হয়নি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন