Omicron Infection: একটা সময় মুম্বইয়ের ধারাবি বস্তির সংক্রমণ মহারাষ্ট্রকে তালিকার শীর্ষে তুলেছিল। দেড় বছর পেরিয়ে শহর যখন ফের ছন্দে ফিরছে, তখন ধারাবির ওমিক্রন সংক্রমণে সিঁদুরে মেঘ দেখছে পুরসভা। তাই করোনার দুটি ঢেউয়ের মতোই ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়েছে বৃহৎমুম্বই পুরসভা।
জানা গিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর ধারাবির এক ব্যক্তির সংক্রমণ ধরা পড়ে। তিনি সদ্য তানজানিয়া থেকে ফিরেছেন। তাঁর জিন বিন্যাসে ওমিক্রন স্ট্রেনের অস্তিত্ব মিলেছে। যদিও সেই ব্যক্তি উপসর্গহীন। তাও সতর্কতা অবলম্বনে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সেই আক্রান্ত। এই রোগীর হদিশ মিলতেই ফের ধারাবি ঘরানার আগ্রাসী করোনা প্রতিরোধ পদ্ধতি শহরে ফিরিয়ে আনছে পুরসভা। প্রাথমিক ভাবে শহরের দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি দিনে পাঁচবার গণ শৌচালয় পরিষ্কার, দুয়ারে টিকাকরণ এবং বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে পুরসভা।
পুরসভার এক কর্তার দাবি, ‘ধারাবিতে নথিবদ্ধ জনসংখ্যার প্রায় ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। এর বাইরে বছরে প্রায় ৮.৫ লক্ষ মানুষ এই এলাকায় যাতায়াত করে থাকেন। এই সংখ্যার প্রায় ৮০% মানুষ গণশৌচালয় ব্যবহার করেন। প্রায় আড়াই বর্গকিমি এলাকাজুড়ে ধারাবিতে ৪৫০টি গণ শৌচালয় রয়েছে।‘
এদিকে, দেশজুড়ে বেড়ে চলা ওমিক্রন সংক্রমণকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ সরকার। দ্রুত ১৮ ঊর্ধ্বদের জন্য বুস্টার ডোজের ব্যবস্থা করা হবে। বিবিসি সূত্রে এমনটাই খবর। এমনকি, সম্প্রতি ওমিক্রন সংক্রমণ সে দেশে বড় ঢেউ আনতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
অপরদিকে, ওমিক্রন নিয়ে ভারতের বুকে উদ্বেগ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। বেশ কিছু শহরে শিশুদের মধ্যেও এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। এবং সাংকেতিক কিছু লক্ষণ দেখেই ধারণা করে নেওয়া হচ্ছে যে সেই ব্যক্তি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত। তবে আইসিএমআর এর বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সুখবর। নয়া টেস্টিং কিট দিয়ে জলদিই মিলবে ভাইরাসের খোঁজ।
রিজিওনাল মেডিক্যাল রিসার্চের উত্তর পূর্বীয় শাখার বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি জানিয়েছেন এমন একটি টেস্টিং কিট তৈরি করা হচ্ছে যেটি মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই আসলে সেই ব্যক্তি ওমিক্রন দ্বারা আক্রান্ত কিনা সেই তথ্য দেবে। ডা. বিশ্বয্যতি বর্কাকটি ( দলনেতা ) জানিয়েছেন, আইসিএমআর – আরএমআরসি ডিব্রুগর হাইড্রোলোসিস প্রব বেসড রিয়েল টাইম আরটি পিসিআর টেস্ট কিট তৈরির প্রতি এগিয়ে চলেছে। এটি নিঃসন্দেহে দেশের মানুষ এবং চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেকের ক্ষেত্রেই লাভদায়ক।
আরও জানানো হয়েছে, এই কিটটি কলকাতা ভিত্তিক একটি সংস্থা জিসিসি বায়োটেক দ্বারাই প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হচ্ছে। যেখানে বর্তমান সময়ে কম করে ভাইরাসের খোঁজ পেতে ৩/৪ দিন লাগে সেইখানে এটিতে মাত্র দুই ঘণ্টায় এটি সম্ভব!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন