হাতে অর্থ, সময় দু-ই আছে। তবুও বেড়াতে যেতে পারছেন না। কারণ, ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার ক্ষতি হবে। স্কুলের গাদাগাদা বইপত্তর তো আর বেড়াতে যাওয়ার সময় ব্যাগে বয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না! এমনিতেই পোশাক, জরুরি জিনিসপত্রে ব্যাগ বোঝাই থাকে। আর, কতই বা বাড়ানো যায় সেই ব্যাগের বোঝা? টানবেই বা কে? এসব চিন্তা করেই শেষ পর্যন্ত সুযোগ মিললেও বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছেটাকে দূরে সরিয়ে রাখতে হয় অনেকেরই।
এই সব অভিভাবকদের কথা মাথায় রেখে, এবার পর্যটন কেন্দ্রেই চালু হয়ে গেল আস্ত একটা লাইব্রেরি। যেখানে আছে ১,৫০০-র বেশি বই। বেড়াতে গিয়েও এই লাইব্রেরিতে দীর্ঘক্ষণ ধরে লেখাপড়া করতে পারবে পড়ুয়ারা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ওড়িশার কেন্দাপাড়া জেলার ভিতরকণিকা।
এই জাতীয় বনাঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণ ডাঙ্গামল প্রকৃতি শিবির। সেখানেই চালু হয়েছে এই লাইব্রেরি। তবে, কেবলমাত্র শিশুরাই সেখানে পড়তে পারবে। গত ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এই লাইব্রেরির উদ্বোধন হয়। যা আকর্ষণ বাড়িয়েছে ডাঙ্গামল প্রকৃতি শিবিরের।
সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, লাইব্রেরিটি তৈরি হয়েছে আস্ত একটা নৌকোর মধ্যে। এই নৌকোয় চেপে বিপন্ন প্রাণীদের উদ্ধারে যেতেন ভিতরকণিকার বনকর্মীরা। কালের স্রোতে নৌকোটি তার কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। এতদিন ধরে বাতিল হয়ে পড়ে ছিল এই নৌকো।
তারই খোলনলচে বদলে ইকো-ট্যুরিজম কমপ্লেক্সের মধ্যে নিয়ে এসে তৈরি করা হয়েছে লাইব্রেরি। শিশু পর্যটকদের পাশাপাশি, আশপাশের দুই থেকে তিনটি স্কুলের পড়ুয়ারাও এই লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এমন উদ্যোগ ভারতে প্রথম।
প্রতিবছর নোনা জলের কুমির দেখতে ভিতরকণিকায় অসংখ্য পর্যটক পরিবার নিয়ে ভিড় করেন। তবে, আপাতত এখানে যেতে পারবেন না পর্যটকরা। কারণ, নোনা জলের কুমিরের মিলন ও বাসা বাঁধার জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন- ডেল্টা, ওমিক্রন রুখতে দারুণ কাজ দিচ্ছে নির্দিষ্ট এই ভ্যাকসিন, জানাল আইসিএমআর
এই সময়ে কেবল আশপাশের স্কুলগুলোর শিশুদেরই লাইব্রেরিটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন ভিতরকণিকার বিভাগীয় বন আধিকারিক জেডি পাতি। তিনি জানান, এখানে হিন্দি, ইংরেজি এবং ওড়িয়া- তিন ভাষার বই রাখা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে শিশুদের আকর্ষণের অন্যান্য ব্যবস্থাও।
Read full story in English