তামিলনাড়ুর কুন্নুর জেলায় বায়ুসেনার চপার দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স মেজর জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী-সহ ১৩ জনের। আগেই জেনারেল রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা ও ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডারের মরদেহ শনাক্তকরণ হয়। গতকালই তিনজনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার চপার দুর্ঘটনায় নিহত আরও পাঁচ সেনাকর্মীর দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আজই পাঁ সেনাকর্মীর মরদেহ তাঁদের বাড়িতে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে সেনাবাহিনী।
গত বুধবার তামিলনাড়ুর কুন্নুর জেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বায়ুসেনার চপার। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় সিডিএস বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার-সহ বেশ কয়েকজন সেনাকর্তা ও জওয়ান নিহত হন। প্রথমে সস্ত্রীক জেনারেল রাওয়াত ও ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারের দেহ শনাক্ত করে সেনাবাহিনী। গতকাল দিল্লিতে প্রয়াত তিনজনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
চপার দুর্ঘটনায় নিহত বাকি দশ জনের দেহ শনাক্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছিল সেনা। শনিবার তাঁদেরই পাঁচজনের দেহের শনাক্তরণ করা সম্ভব হয়েছে। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার জেরে মৃতদেহগুলি আগুনে ঝলসে গিয়েছে। সেই কারণেই দেহের শনাক্তরণে বেগ পেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী, ৫৫৯ দিনে সর্বনিম্ন করোনা অ্যাক্টিভ কেস
তবে এদিন শনাক্তকরণ হয়ে যাওয়া পাঁচ সেনাকর্মীর মরদেহ তাঁদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে সেনাবাহিনী। বিশেষ বিমানে পাঁচ জনের দেহ পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। তবে এখনও শনাক্তরন হয়নি পাঁচটি মৃতদেহের। দিল্লির সেনা হাসপাতালে মরদেহগুলি শায়িত রয়েছে। মৃতদেহগুলি শনাক্তরণের চেষ্টা চলছে।
শনিবার সকালে নতুন করে যে পাঁচ সেনাকর্মীর মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে তাঁরা হলেন, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার প্রদীপ, উইং কমান্ডার পিএস চৌহান, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার প্রতাপ দাস, ল্যান্স নায়েক বি সাই তেজা এবং ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার। এদিন এই পাঁচ সেনাকর্মীর মরদেহ তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার আগে দিল্লির সেনা হাসপাতালে তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন