বোফর্স কাণ্ডে ৬৪ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় আরও তদন্তের জন্য দিল্লি আদালতে যে আবেদন করেছিল, বৃহস্পতিবার তা প্রত্যাহার করে নিল সিবিআই। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন প্রমাণাদির সাপেক্ষে এই আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নবীন কুমার কাশ্যপের আদালতে সিবিআই বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে পরবর্তী গতিপ্রকৃতি নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে, আপাতত তারা ওই আবেদন প্রত্যাহার করতে চায়।
সিবিআইয়ের অবস্থানের কথা জানার পরে বিচারক বলেছেন, আবেদনকারী হিসেবে আবেদন প্রত্যাহার করা অধিকার সিবিআইয়ের রয়েছে।
২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর আদালত সিবিআইকে প্রশ্ন করেছিল যে এ মামলার আরও তদন্তের জন্য কেন অনুমতি চাওয়া হচ্ছে। সিবিআই এর আগে এই মামলায় সমস্ত অভিযুক্তদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে আবেদন করেছিল তা এ বছর সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেছে।
১৯৮৬ সালে ভাপতের সঙ্গে সুইডেনের অস্ত্র উৎপাদনকারী সংস্থা এবি বোফর্সের চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুসারে ভারতীয় সেনাকে ৪০০টি ১৫৫ মিলিমিটারের হাউইৎজার কামান সরবরাহ করার কথা ছিল ওই সংস্থার।
১৯৮৭ সালের ১৬ এপ্রিল সুইডিশ রেডিওর তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, এবি বোফর্স কোম্পানির তরফ থেকে ১৪৩৭ কোটি টাকার এই চুক্তির জন্য ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে।
১৯৯০ সালে সিবিআই এবি বোফর্সের তৎকালীন কর্ণধার মার্টিন আর্ডবোর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারাতেও তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এফআইআর করা হয় অভিযুক্ত মিডলম্যান উইন চাড্ডা এবং হিন্দুজা ভাইদের নামেও।
এ ব্যাপারে প্রথম চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ২২ অক্টোবর। চার্জশিটে নাম ছিল উইন চাড্ডা, ওত্তাভিও কোয়াত্রোচি, তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব এস কে ভাটনহর, আর্ডবো এবং বোফর্স কোম্পানির।
২০০০ সালের ৯ অক্টোবর দাখিল করা এক সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল হিন্দুজা ভাইয়েদর বিরুদ্ধে। ২০১১ সালের মার্চ মাসে বিশেষ সিবিআই আদালত কোয়াত্রোচিকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। আদালত বলেছিল, দেশের পক্ষে কঠোর শ্রমের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ব্যয় করে কোয়াত্রোচিকে প্রত্যর্পণের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। আদালতের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছিল ইতিমধ্যেই ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গিয়েছিল।
Read the Story in English