সংক্রমণ ছড়ানোর কোনও প্রমাণ নেই। তাই তবলিঘি জামাত ইস্যুতে ৮ বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করল বম্বে হাইকোর্ট। গত মাসেই হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ এই সংক্রান্ত মামলার এফআইআর খারিজ করে দেয় তবলিঘি জামাতিদের বিরুদ্ধে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রমাণ না মেলায়। এবার নাগপুর বেঞ্চও মায়ানমার ৮ নাগরিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করল। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চললে তা অবিচার করা হবে বলে আদালতের মত। নাগপুরে লকডাউন ভাঙা ও করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগে এক মহিলা-সহ ৮ জামাত সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল।
গত জুলাই মাসে বিদেশি আইন, মহামারী আইন, বিপর্যয় মোকাবিলা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় পুলিশের দায়ের করা এফআইআরের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই জামাত সদস্যরা। তাঁদের বয়স ৩৬ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দায়ের করে। গত এপ্রিল মাসেই তাঁদের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু তাও পুলিশ চার্জশিটে তাঁদের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো এবং লকডাউনের নিয়ম ভাঙার জন্য মামলা রুজু করে। এমনকী ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মগজধোলাইয়ের অভিযোগও দায়ের হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন করোনা ছড়ানোর জন্য় দায়ী তবলিঘি জামাতের সমাবেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি ভি এম দেশপাণ্ডে এবং অমিত বি বোরকর জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তবলিঘি জামাতের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা, ধর্ম প্রচার করা বা ধর্মীয় বক্তব্য রাখা এবং সংক্রমণ ছড়ানোর প্রমাণ মেলেনি। তাঁরা স্থানীয় ভাষায় সড়গড় নয় এবং তাঁরা মাতৃভাষায় কোরান পড়েছে। গত ৬ মার্চ তাঁরা নাগপুরে এসেছিলেন। ২২ মার্চ তাঁদের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন জনতা কার্ফু ঘোষণা হওয়ায় তাঁদের নাগপুরের মারকাজ সেন্টারে রাখা হয়। ২৪ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই ছিলেন।
তারপর ৩ এপ্রিল তাঁদের নাগপুরের এমএলএ হস্টেলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু গত ৫ এপ্রিল তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআৎ দায়ের হয় এবং তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো এবং লকডাউনের নিয়ম ভাঙার জন্য মামলা রুজু করে। তবে প্রমাণ না মেলায় এই মামলা চালানো আদালতের অবমাননা হবে বলে মতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। এর আগে ঔরঙ্গাবাদা বেঞ্চ ২৯ জন বিদেশি জামাত সদস্য়ের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দেয়। মহামারী আবহে তাঁদের বলির পাঁঠা করা হয়েছিল পুলিশকে ভর্ৎসনা করে আদালত।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন